চন্দ্রবাবু নাইডু অভিযোগ এনেছিলেন যে পশুর চর্বি ও মাছের তেল দিয়ে বানানো হত তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু (Tirupati Temple Laddu)। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সনাতনীদের মধ্যে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। ল্যাবেও এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনা কংগ্রেসের আমলে ঘটানো হত, এমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন নাইডু।
নাইডু এও দাবি করেছেন যে তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মন্দিরে খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘প্রসাদম’। এর জেরে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এরপরেই দেশজুড়ে এই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এর জেরে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে।
এর জন্য আজ তিরুপতি মন্দিরে চলেছে ‘শুদ্ধিকরণ’ অনুষ্ঠান। আজ টানা ৪ ঘন্টা ধরে চলে এই অনুষ্ঠান। সকাল ৬টায় শুরু হয়েছিল এই অনুষ্ঠান। প্রথমেই হয় ‘মহা শান্তি হোমযজ্ঞ’ অনুষ্ঠান। এই মূল অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল ‘শুদ্ধিকরণ’।
পুরোহিতদের একটি দলের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। তারা মনে করছেন যে এই যজ্ঞ করলে মন্দিরে আবার পবিত্রতা ফিরে আসবে। তাছাড়াও দূর হবে ভেজালের প্রভাব। তিরুপতি মন্দিরের আরাধ্য দেবতা ভেঙ্কটেশ্বরকে এই লাড্ডু নিবেদন করা হয়ে থাকে।
সর্বপ্রথম ১৭১৫ সাল এই লাড্ডু সর্বপ্রথম নিবেদন করা হয়েছিল। এই লাড্ডুটি যেই স্থানে প্রস্তুত করা হয় তাকে ‘পোটু’ নামে ডাকা হয়ে থাকে। প্রত্যেক দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে একটি করে লাড্ডু দেওয়া হয়। এর বেশি লাড্ডু নিতে হলে তাদের ৫০ টাকা করে দিতে হয়। এই লাড্ডু নিয়েই বর্তমানে শুরু হয়েছে নানানরকম বিতর্ক।