অন্ধ্রপ্রদেশের বেঙ্কটেশ্বর তিরুপতি মন্দির ঘিরে অব্যাহত ‘চরম’ রাজনৈতিক তরজা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডির আমলে মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘পশুর চর্বি’ (Tirupati laddoo) মেশানো হয়েছে। এমন দাবিই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। যা নিয়ে এই মুহূর্তে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঝড়ের গতিতে সেই বিতর্কের রেশ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ‘পশুর চর্বি’র সঙ্গে মাছের তেল মেশানো হচ্ছে বলে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার ময়দানে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। মন্দির ‘শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার’ কথা ঘোষণা করলেন তিনি।
চন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, এখন থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের সমস্ত মন্দিরে ‘পশুর চর্বি’র ব্যবহার যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। রাজ্যের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে যাতে কোনরকম আঁচ না পড়ে সেই দায়িত্ব সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। তিরুমালা ইস্যু নিয়ে যাতে বিতর্কের ঝড় পুনরায় না সৃষ্টি হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান চন্দ্রবাবু।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কের (Tirupati laddoo) প্রতিক্রিয়ায় জির স্বামী, কাঞ্চি স্বামী এবং অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হওয়ার আগে চন্দ্রবাবু নাইডু রাজ্যের তৎকালীন শাসক দল যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজন ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। বলেন, ৩২০ টাকা কেজি দরে গড়ুর দুধের ঘি পাওয়া কীভাবে সম্ভব?” এটি যে কেবল পাপ তাই নয়, পাশাপাশি নির্লজ্জতার পরিচয় বলেও সুর চড়িয়েছিলেন তিনি।
এবছর সেই জগনকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হন চন্দ্রবাবু নাইডু। তারপর তাঁর এমন মন্তব্যের পেছনে আসলে রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের উদ্দেশ্য রয়েছে বলে সরব বিরোধীরা। জগনের দলের পাশাপাশি কংগ্রেসও কাঠগড়ায় তুলেছে নায়ডুকে। যদিও বিরোধী পক্ষের এমন অভিযোগে পাত্তা দিতে নারাজ নাইডু।