পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হল তিন কন্যার, পরিবারের শোকের ছায়া

পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে (drown) মৃত্যু হল তিন কন্যার (three daughters), পরিবারের শোকের ছায়া। গত ৬ অক্টোবর বুধবার ছটের আগের দিন মানুষ উৎসবে মেতে…

three daughters drown

পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে (drown) মৃত্যু হল তিন কন্যার (three daughters), পরিবারের শোকের ছায়া। গত ৬ অক্টোবর বুধবার ছটের আগের দিন মানুষ উৎসবে মেতে উঠলেও এর মধ্যেই একযোগে গ্রামের তিন মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে চত্রার হান্টারগঞ্জের ধোবে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনটি মেয়েই পুকুরে ডুবে মারা যায়। সুত্রের খবর, তিনটি মেয়ে বন্ধু ছিল এবং একসঙ্গে জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল, কিন্তু তারপর তারা তিনজনই পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল।

গ্রামবাসীরা জানান, ওই তিন মেয়ে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তাদের খোঁজ শুরু হয়। গ্রামের কেউ তিন মেয়েকে পুকুরের দিকে যেতে দেখেছে। তাই স্থানীয় লোকজন পুকুরে গিয়ে মেয়েদের খোঁজ করে এবং যে পুকুরে তিনজনই স্নান করতে গিয়েছিল সেই পুকুরের খোঁজ শুরু করে। এটি খুব গভীর ছিল এবং তাই এটি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা যায়নি তবে তারপরে তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মেয়েটিকে পুকুরে দেখা যায়।

   

পরে গ্রামবাসীরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে তিন কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে। পুকুরে ডুবে যাওয়া মেয়েদের মধ্যে তুরি টোলার সারজু গাঞ্জুর ১০ বছরের মেয়ে বিশাখা কুমারী, একজন ধোপা, প্রমোদ গাঞ্জুর ৮ বছরের মেয়ে কীর্তি কুমারী এবং মঙ্গার গাঞ্জুর ১০ বছরের মেয়ে আংশু কুমারী।

মৃত কীর্তি কুমারীর বাবা প্রমোদ গাঞ্জু জানান, তিন মেয়েই বন্ধু ছিল এবং মাধ্যমিকের ছাত্রী ছিল। বুধবার, ৬ অক্টোবর ছট উৎসবের আগের দিন স্কুল ছুটি ছিল এবং জঙ্গলও গ্রামের খুব কাছে। এমনকি বনের পথেও গ্রামের মানুষ আসা-যাওয়া করে। তাই তিনি তিন মেয়েকে একা জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করতে যেতে বাধা না দিলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।