Bharat Bandh: ব্যর্থ বনধ, ত্রিপুরায় স্বাভাবিক জনজীবন

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুই দিনের বনধ ডেকেছিল বামপন্থী ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন। যা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দিল ত্রিপুরার মানুষ। রাজধানী আগরতলা থেকে শুরু করে আমবাসা, তেলিয়ামুড়া কিংবা…

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুই দিনের বনধ ডেকেছিল বামপন্থী ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন। যা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দিল ত্রিপুরার মানুষ। রাজধানী আগরতলা থেকে শুরু করে আমবাসা, তেলিয়ামুড়া কিংবা অমরপুর- সর্বত্রই দেখা গিয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।

আগরতলার সর্বত্র দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে সকল সরকারি কার্যালয় ছিল স্বাভাবিক। যান চলাচল পরিষেবার ক্ষেত্রেও কোনও বিঘ্ন দেখা যায়নি। বৃষ্টির কারণে অন্য দিনের থেকে রাস্তায় জনস্মাগম কিছুটা কম ছিল কোথাও কোথাও। তবে তা বনধের কারণে নয়। সরকারি কার্যালয়গুলির সামনে ভিড় ছিল অন্যান্য দিনের মতোই।

   

একই ছবি দেখা গিয়েছে আমবাসায়। সকাল থেকেই নিত্য দিনের মতোই ছিল আমবাসার যান চলাচল। আমবাসা বাজারের দোকানপাট ছিল অনেকাংশই খোলা। কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গিয়েছে। বনধের প্রভাব পড়েনি স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালতে, আমবাসায় স্কুল কলেজ অফিস-আদালত ছিল অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক ছন্দে। যা নিয়ে আমবাসা সিপিএমের মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিজন পাল বলেন, “বনধকে সমর্থন করেছে মহকুমাবাসী, বিজেপি তাদের প্রভাব কাটিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে দোকানপাট খোলা রেখেছে।”

যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। পদ্ম শিবিরের আমবাসা মণ্ডল কমিটির সভাপতি চন্দন ভৌমিক, “তিনি বলেন গোটা দেশে সিপিএম দিশেহারা হয়ে রয়েছে, সিপিআইএমের কোন সমর্থন নেই রাজ্যে, তাই বন্ধ নাচক করে দিয়েছে রাজ্যবাসী, আমবাসায় দোকান থেকে শুরু করে যান চলাচল সবই স্বাভাবিক।”

রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো রাজ্যের ব্যস্ততম এলাকা তেলিয়ামুড়াতেও বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। বাজার-হাট থেকে শুরু করে যানবাহন চলাচল সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক। তার পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, পোস্ট অফিস সহ তেলিয়ামুড়া সকল সরকারি দপ্তরের কাজকর্ম পুরোদমে চলছে সোমবার। একাধিক স্কুল খোলা ছিল তেলিয়ামুড়ায়। যেখানে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

একই ছবি ধরা পড়েছে মোহনপুরে। এদিন সকাল থেকে মোহনপুরের প্রতিটি বাজার হাটে লোক সমাগম ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক। শহরের ব্যাবসায়ীরাও অন্যান্য দিনের মতো তাদের দোকানপাট খোলা রাখেন।যান চলাচলও ছিল মোহনপুরে স্বাভাবিক। ব্যাবসায়ীরা শ্রমিক সংগঠনগুলোর এই ৪৮ ঘন্টার বনধকে কর্মনাশা বনধ হিসেবে আখ্যায়িত করলেন।