2024 এই পাক-অধিকৃত কাশ্মীর দখল নেবে ভারত: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কপিল পাটিল। মহারাষ্ট্রের এই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের…

পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কপিল পাটিল। মহারাষ্ট্রের এই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে যাবে। এর আগে ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর অমিত শাহ প্রায় একই কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চিন খুব শীঘ্রই ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিওকে নিয়ে এধরনের মন্তব্য করেছেন। কারণ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই পাকিস্তান যেন একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি গো-বলয়ের বৃহত্তম রাজ্যের ভোট প্রচারে বারেবারেই টেনে এনেছে পাকিস্তানকে।

পিওকে নিয়ে প্রথম থেকে বিজেপি আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চলেছে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়। মোদি ও তাঁর দলের কাছে প্রথম থেকেই পাকিস্তান যেন একটা বড় ইস্যু। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানের সার্জিকাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। এদিন মুম্বইয়ের কল্যাণে এক সভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কপিল বলেন, ২০২৪-এর মধ্যেই আগে কী ঘটনা ঘটতে চলেছে তা দেখুন। ২০২৪ সালেই আপনারা সকলে এক বড় ঘটনার সাক্ষী হবেন। দেখবেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে।

পাটিল আরও বলেন, আমরা সকলেই জানি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নরসিমা রাও স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কাশ্মীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীর যতদিন না ভারতের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ততদিন এই সমস্যা মিটবে না। তবে সেই সমস্যা মিটতে আর খুব বেশি সময় লাগবে না। বছর দুয়েকের মধ্যেই পিওকে চলে আসবে ভারতের হাতে।

বিরোধীরা একাধিকবার দাবি করেছে, দেশাত্মবোধ ও পাকিস্তান নিয়ে রাজনীতি করছে মোদি সরকার। তাই চিন এবং পাকিস্তান এই দুই দেশকেই বারবার রাজনীতির আঙিনায় টেনে আনা হচ্ছে। দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই এটা করা হচ্ছে। কপিলের এদিনের মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও বছর দুই পরে লোকসভা নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানকেই আঁকড়ে ধরবে মোদি সরকার।