বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন সপা প্রধান

এক নির্বাচনী জনসভায় বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। এদিন মুজাফফরনগরে তিনি একটি জনসভা করেন। ওই জনসভায় তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি…

Akhilesh Yadav

এক নির্বাচনী জনসভায় বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। এদিন মুজাফফরনগরে তিনি একটি জনসভা করেন। ওই জনসভায় তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি তাঁকে সভা করতেও বাধা দিচ্ছে। যে কারণে দিল্লি থেকে ফেরার সময় তাঁর কপ্টারকে কিছুক্ষণের জন্য আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কপ্টার আটকে রাখা বিজেপির ষড়যন্ত্র। আসলে ওরা ভেবেছিল, এভাবে দেরি করিয়ে দিলে জনসভা থেকে সবাই চলে যাবে। কিন্তু তা নয়, এখানে আমার কথা শোনার জন্য মানুষ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে আছে। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।

সপা প্রধান এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোক দলের কাছে বিজেপি কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে। ওদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। সেটা বুঝে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সে কারণেই তিনি তলে তলে আরএলডি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তাদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভাবুন বিজেপির কি অবস্থা! কৃষি আইন নিয়েও এদিন তিনি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, যাদের জন্য আইন করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে বিজেপি একবারও কথা বলার প্রয়োজন বোধ করল না। এ থেকেই বোঝা যায় ওরা গণতন্ত্র মানে না। কিন্তু আমরা কখনওই বিজেপির মত জোর করে কোনও কিছু উত্তরপ্রদেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেব না। কৃষি আইনের মত যদি কোনও ক্ষতিকর আইন বিজেপি করার চেষ্টা করে তবে আমরা সর্বতোভাবে তার প্রতিরোধ করব।

অখিলেশ আরও বলেন, বিজেপি ডুবন্ত নৌকা। সেটা তো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই এই দলে আর কেউ থাকতে চাইছে না। সবাই সমাজবাদী পার্টিতে আসতে চাইছেন। কিন্তু আমরা কখনওই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সপায় ঠাঁই দেব না। এর আগে আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও টুইট করে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। আরএলডি নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁরা সপার সঙ্গী ছিলেন ও থাকবেন। বিজেপির প্রতি কোন রকম সহানুভূতি তাঁদের নেই। একই সঙ্গে তিনি বিজেপিকে পরামর্শ দেন, তাঁকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ৭০০ কৃষকের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাতে। যে ৭০০ কৃষক পরিবারকে বিজেপি ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের কাছে যাওয়ার জন্য বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছেন জয়ন্ত। সূত্রের খবর, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ ভোট পেতে আরএলডি নেতার কাছে দূত পাঠিয়েছিল বিজেপি।