Republic Day: গ্যাস চেম্বারে রাখা আছে ভারতের সংবিধান

ভারতীয় সংবিধানের মূল গ্রন্থটি সংসদ ভবনে রক্ষিত। যেখানে লেখা হয়েছে দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর সূত্রগুলি। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day) পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে যথাযথভাবে। দেশের…

ভারতীয় সংবিধানের মূল গ্রন্থটি সংসদ ভবনে রক্ষিত। যেখানে লেখা হয়েছে দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর সূত্রগুলি। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day) পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে যথাযথভাবে। দেশের সংবিধান গ্রন্থটি রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যে কর্মকাণ্ড চলেছিল তা তীব্র কৌতূহলজনক।

সংবিধান গ্রন্থের মূল খণ্ডটি সংরক্ষিত আছে গ্যাস চেম্বারে। রসায়ণ বিশেষজ্ঞ দের মতামত নিয়েই এমন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। কারণ, মূল সংবিধান গ্রন্থটি কাগজে লেখা। এর অলঙ্করণ চিত্রগুলি অনন্য। কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু সংবিধান গ্রন্থ সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এমন দূর্লভ সোনার ফ্রেমে মোড়ানো গ্রন্থ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। কারণ কাগজ ক্ষয়শীল। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েন সংবিধান বিশষজ্ঞরা ও ভারত সরকার। খোঁজা হয় এই গ্রন্থ সংরক্ষণের বিশেষ পদ্ধতি।

ভারতের সংবিধান গ্রন্থ রক্ষণাবেক্ষণের ইতিহাস ঘাঁটলে মিলছে, গ্রন্থটির প্রতিটি পাতাকে বিশেষ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সুরক্ষিত করা হয়েছে। এর জন্য ব্যবহার করা হয় নাইট্রোজেন গ্যাস।

সংবিধান গ্রন্থের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই গ্রন্থের চিত্র অলঙ্করণ বিরলতম। কারণ কিংবদন্তি নন্দলাল বসুর স্পর্শ রয়েছে। ১৯৯৪ সালে দেখা গিয়েছিল মূল গ্রন্থটির কয়েকটি পাতা ক্ষতিগ্রস্থ। তড়িঘড়ি ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবেই হোক সংবিধান গ্রন্থের সর্বোচ্চ সংরক্ষণ করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা তখন বিশ্বজুড়ে খোঁজ করেন বিভিন্ন দেশের সংবিধান গ্রন্থ সংরক্ষিত পদ্ধতি। জানা যায় প্রাচীনতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সংরক্ষিত হয় গ্যাস চেম্বারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার সেই পদ্ধতি জানায়। এর পরেই সংসদ ভবনে বিশেষ কক্ষ প্রস্তুত করে সংবিধান মূল খণ্ডটি নাইট্রোজেন গ্যাস চেম্বারে রাখা হয়েছে।

এই গ্যাস চেম্বার প্রতি মাসে নির্দিস্ট সময়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর জন্য বিশেষ কর্মীরা আছেন। মূল সংবিধান গ্রন্থটির পাতা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অটুট।

সংবিধান গ্রন্থের বিভিন্ন পাতায় যে অলঙ্করণ করেছিলেন নন্দলাল বসু তার অন্যতম মহীশুরের বাঘ টিপু সুলতান ও ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই। দুই কিংবদন্তি যোদ্ধা ব্রিটিশ বিরোধী যুদ্ধে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনার প্রতিপক্ষ ছিলেন। দুজনেই যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ হন।