Economic Jihad: হালাল খাবার আদতে অর্থনৈতিক জিহাদ, দাবি বিজেপি বিধায়কের

জিহাদ শব্দটি বহুল প্রচারিত রয়েছে মুসলিম সমাজে। কোরানে ৪১ বার উল্লেখ রয়েছে জিহাদ শব্দটি। আরবি শব্দ জিহাদের অর্থ হচ্ছে সংগ্রাম। ইসলামের ইতিহাসে অনেক প্রকারের সংগ্রাম…

The halal meat business is a kind of 'economic jihad'

জিহাদ শব্দটি বহুল প্রচারিত রয়েছে মুসলিম সমাজে। কোরানে ৪১ বার উল্লেখ রয়েছে জিহাদ শব্দটি। আরবি শব্দ জিহাদের অর্থ হচ্ছে সংগ্রাম। ইসলামের ইতিহাসে অনেক প্রকারের সংগ্রাম বা জিহাদের উল্লেখ রয়েছে। কালক্রমে জিহাদের সংজ্ঞা বদলেছে। যার অন্যতম হচ্ছে লাভ জিহাদ। সেই তালিকায় এবং যুক্ত হল অর্থনৈতিক জিহাদ (Economic Jihad)।

লাভ জিহাদ হচ্ছে অমুসলিম মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করা। তারপর তাঁকে ধর্মান্তিরত করে নেওয়া। এতে অন্য ধর্মের মানুষের সংখ্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে ওই মহিলার গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানকে ইসলামের অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলা যায়। এতে ইসলামের পসার ঘটে। এই লাভ জিহাদ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। লাভ জিহাদ রুখতে কড়া আইন জারি হয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।

সেই বিতর্কের মাঝে নতুন কর যুক্ত হল ইকোনমিক জিহাদ বা অর্থনৈতিক জিহাদ। এই নয়া তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কর্ণাটকের বিধায়ক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। তিনি বলেছেন, “হালাল খাবারের ব্যবসা হচ্ছে মুসলিমদের অর্থনৈতিক জিহাদ। হালাল মাংসের ধারণার অর্থ হল তারা নিজেদের মধ্যে ব্যবসা করতে পারে এবং শুধুমাত্র তাদের লোকদের মধ্যে হালাল মাংস খেতে পারে।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও প্রশ্ন, “এটাকে ভুল হিসেবে নির্দেশ করতে দোষের কী আছে।”

মুসলিম সমাজে খাবার গ্রহণের বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। সকল প্রকারের খাবার মুসলিমরা গ্রহণ করেন না। কোনও পশু হত্যা করার ক্ষেত্রে ধর্মীয় নিয়ম মেনে তা করতে হয়। তবেই তা হালাল। অন্যথায় ওই মাংস গ্রহণ ইসলাম বিরুদ্ধ বা হারাম। সেই কারণে ওই খাবারের দোকানে হালাল খাবারের কথা উল্লেখ করা থাকে। মুসলিমরাও অনেক জায়গায় খাওয়ার আগে জিজ্ঞাসা করে নেন খাবারটি হালাল কিনা।

বিধায়কের মুখে এই প্রকারের শব্দ থেকে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ধরনের মন্তব্য সমাজে বিভাজন করতে পারে। যদিও বিভাজনের তত্ত্ব মানতে নারাজ বিধায়ক সিটি রবি। তিনি বলেছেন, “তারা তাদের স্বার্থ রক্ষা করছে। আমরা আমাদের রক্ষা করছি। সমস্যাটা কি? তারা হালালের নামে তাদের এজেন্ডা নির্ধারণ করেছে। তারা উদার হলে আমরাও উদার হয়ে যাব।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন যে সমাজে হিন্দু-মুসলিম বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তাই নতুন করে তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে বিভাজনের কিছুই নেই।

সাম্প্রতিক অতীতে হিজাব বিতর্ক নিয়ে উত্তাল হয়েছে কর্ণাটক। যার রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র দেশে। সেই রেশ না কাটতেই জন্ম নিচ্ছে নয়া বিতর্ক। সিটি রবির ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের হালাল খাবার নিয়ে মন্তব্যের পরে। তিনি বলেন, “হালাল ইস্যু সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আমাদের এটা খতিয়ে দেখতে হবে। এটি একটি ইসলামিক অনুশীলন, যা চলে আসছে। এখন তা নিয়ে তীব্র আপত্তি উঠেছে। আমি এটা দেখব।”