Kerala Blast: কেরল বিস্ফোরণে বাড়ল নিহতের সংখ্যা, হামলা করল কে?

কেরলে বিস্ফোরণের (Kerala Blast) জেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উদ্বিগ্ন। এনআইএ তদন্ত করছে। এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন সিপিআইএম দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন এটি একটি ষড়যন্ত্র। তবে বিস্ফোরণের ১২…

কেরলে বিস্ফোরণের (Kerala Blast) জেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উদ্বিগ্ন। এনআইএ তদন্ত করছে। এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন সিপিআইএম দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন এটি একটি ষড়যন্ত্র। তবে বিস্ফোরণের ১২ ঘণ্টা পরেও কেরল সরকার অথবা কেন্দ্র সরকার কেউই জানায়নি হামলাকারী কারা? কোনও সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় নেয়নি।

মনে করা হচ্ছে, এর্নাকুলামে যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সেটির পিছনে ফিলিস্তিনপন্থী কোনও ভারতীয় সংগঠন জড়িত। এই যুক্তির কারণ হিসেবে উঠে আসছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাসের নেতার ভিডিও বার্তা। শনিবারই ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও ছিল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। আর রবিবার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের একটি ঈশ্বর জিহোবার উপাসনার সময়।

   

বিস্ফোরণের পর ডমিনিক মার্টিন নামে একজন ব্যক্তি দায় স্বীকার করেছেন এবং ত্রিশূরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। বিস্ফোরণস্থলে বোমাটি পুঁতে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। আত্মসমর্পণের আগে তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন। তবে তার মন্তব্যকে সব দিক থেকে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ডিজিপি শাইক দারভেশ বলেন, বিস্ফোরণের দায় নেওয়া ডমিনিক, দাবি করেন তিনি জিহোবার শিক্ষার সাথে একমত নন এবং তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন।

এর্নাকুলামের কালামাসেরিতে একটি কনভেনশন সেন্টারে তিনটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দুজন নিহত এবং ৫২ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, আইসিইউতে বর্তমানে ১৮ জন রোগী রয়েছে। তারা সবাই স্থিতিশীল। মোট ৬ জন গুরুতর অসুস্থ। তিনি ছুটিতে থাকা চিকিৎসক সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিলম্বে ফিরে আসার নির্দেশ দেন। বিস্ফোরণে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেন।

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, এর্নাকুলামে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত করবে কুড়ি সদস্যের একটি দল। বিজয়ন বলেছেন সোমবার একটি সর্বদলীয় সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে যারা রয়েছে তাদের ধরার চেষ্টা করা হবে।