North East Express: নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসের কামরা থেকে উদ্ধার চলছে, একাধিক নিহত

বিহারের রঘুনাথগঞ্জ স্টেশনের কাছে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে দিল্লি থেকে কামাখ্যাগামী নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস। বুধবার রাতে এই দুর্ঘটনার পর রাতে যতটা সম্ভব উদ্ধার শুরু হয়।…

north east express

বিহারের রঘুনাথগঞ্জ স্টেশনের কাছে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে দিল্লি থেকে কামাখ্যাগামী নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস। বুধবার রাতে এই দুর্ঘটনার পর রাতে যতটা সম্ভব উদ্ধার শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে লাইনচ্যুত ট্রেনের পরিস্থিতি দেখে এলাকবাসী স্তম্ভিত। একাধিক নিহত। শতাধিক জখম।

রেল সূত্রে খবর, কমপক্ষে ৬ জন নিহত। জখম ১০০ অধিক। তাদের অনেকেই আশঙ্কাজনক। এই রেলপথের বহু ট্রেন বাতিল। উত্তরবঙ্গের NJP, জলপাইগুড়ি রোড, নিউ কোচবিহার ও নিউ আলিপুরদুয়ার হয়ে অসম যায় নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস। 

   

দিল্লির আনন্দ বিহার থেকে কামাাখ্যা হয়ে গুয়াহাটি যাওয়ার নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস  বিহারের (Bihar) রঘুনাথ স্টেশনের কাছে ছিটকে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের কামরার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। বক্সারের রঘুনাথ স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক। এই দুর্ঘটনা ফিরিয়ে দিয়েছে ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ভয়াবহ মুহূর্ত।

বক্সারের পুলিশ সুপার (এসপি) মনীশ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় কয়েকজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের পাটনার এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই ত্রাণ ব্যবস্থা শুরু করা হয়, অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে আসে।

পূর্ব মধ্য রেলওয়ে বিবৃতি অনুসারে, দিল্লি এবং ডিব্রুগড়ের মধ্যে রাজধানী এক্সপ্রেস সহ এই রুটে চলাচলকারী কমপক্ষে ২১ টি ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে – কাশী পাটনা জন শতাব্দী এক্সপ্রেস (15125) এবং পাটনা কাশী জন শতাব্দী এক্সপ্রেস (15126)।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ট্রেনটি স্বাভাবিক গতিতে আসছিল কিন্তু হঠাৎ করে আমরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পেলাম এবং ট্রেন থেকে ধোঁয়ার ঢেউ উঠল। আমরা ছুটে গিয়েছিলাম কি হয়েছে। আমরা দেখলাম ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। আর এসি কোচগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

রেলওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোচগুলির তদারকি ও দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য যুদ্ধ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। তিনি যারা মারা গেছেন তাদের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন সরকার “ট্রেলাইনের মূল কারণ খুঁজে বের করবে”। তিনি এও বলেছিলেন যে কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত লাইন পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করছেন এবং আটকে পড়া যাত্রীদের গুয়াহাটিতে ফেরানোর জন্য একটি ট্রেন এসেছে।