এ এক বিরল দৃশ্য। ‘চায়ে পে চর্চা’য় একসঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। একে অপরের সঙ্গে দেখা হতেই হাত জোড় করলেন, মাতলেন খোসগল্পে। শুক্রবার সংসদ কমপ্লেক্সে একটি অনানুষ্ঠানিক চা বৈঠকে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধী।
শুক্রবার লোকসভা স্থগিত হওয়ার পরে, বাজেট অধিবেশনের নির্ধারিত দিনের আগেই শেষ বলে ঘোষমা করেন স্পিকার ওম বিড়ল। ১২ অগস্ট পর্যন্ত তা চালুর কথা থাকলেও ৯ তারিখই শেষ হয়ে গেল। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা অধিবেশন সিনে-ডাই অর্থাৎ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত বলে জানান।
এরপরই এক চাচক্রে শাসক ও বিরোধী দলের নেতৃত্ব মিলিত হন। এই বৈঠকেই পাইজামা পাঞ্জাবি, সঙ্গে নীল নেহেরু জ্যাকেট, পায়ে কেতাবি জুতো। পাশের আসনেই ছিলেন স্পিকার বিড়লা। দু’টি আসন পরেই বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। নীল ট্রাউজারের উপরে সাদা টি-শার্ট ছিল গান্ধীর পরনে।
সিসোদিয়ার জেলমুক্তির দিনই কেঁদে ভাসালেন অতীশি, হঠাৎ কী হল?
এছাড়াও ছিলেন, সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কিঞ্জরাপু রামমোহন নাইডু, চিরাগ পাসোয়ান, পীযূষ গোয়েল সহ বিরোধী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কানিমোঝিরা। তাঁরা রাহুল গান্ধীর সারিতেই বসেছিলেন।
অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং বসেছিলেন বিরোধী দলনেতার ঠিক উল্টো প্রান্তের সোফায়।
অপেক্ষার অবসান! ১৫ অগস্ট চালু হচ্ছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
নেতারা নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় একজন সার্ভারকে চায়ের ট্রে নিয়ে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
উল্লেখযোগ্য যে, কয়েক সপ্তাহ আগেই অধিবেশনে বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাহুল গান্ধী লোকসভায় তীক্ষ্ণ শব্দ বিনিময় করেছিলেন। নির্বাচনী ভাষণের অভিঘাত এবং দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতৃত্বের মধ্যে চলমান তিক্ত শব্দ প্রয়োগের পরেও রাহুল ও মোদীর একে অপরের পাশে বসে থাকার চিত্র তাৎপর্যবাহী।