বান্ধবীকেই বিয়ে করব বলে যুবতী গেল বাবাজির কাছে…তারপর হাড়হিম মুহূর্ত

নিজের বান্ধবীকে বিয়ে করার জন্য মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার কামনায় তান্ত্রিকের (কালো জাদু) হাতে মৃত্যু এক যুবতীর। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে।…

DEATH

নিজের বান্ধবীকে বিয়ে করার জন্য মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার কামনায় তান্ত্রিকের (কালো জাদু) হাতে মৃত্যু এক যুবতীর। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে।

১৮ এপ্রিল বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবতীর কঙ্কাল উদ্ধার হয় রবিবার ১৮ মে লখিমপুর জেলার তহসিল মোহাম্মদী থেকে। ২ মাস আগে পুলিশের কাছে মেয়েটির নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। এরপরেই গোটা ঘটনাটি সামনে আসে। বর্তমানে তান্ত্রিক ও সহেলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, আরসি মিশন এলাকার বাসিন্দা পুনম ১৮ এপ্রিল বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। গত ২৬ এপ্রিল তার ভাই থানায় মেয়েটির নামে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ তল্লাশি চালানো শুরু করে।

পুলিশ জানতে পারে যে, মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক (লেসবিয়ান-গে সম্পর্ক) ছিল শাহজাহানপুরের পুওয়ান তহসিলের বাসিন্দা তারই বান্ধবী প্রীতির সঙ্গে।

পুলিশ জানিয়েছে, উর্মিলার মেয়ে প্রীতির বন্ধু পুনম, যিনি মিশ্রীপুর, তহসিল পুওয়ানের বাসিন্দা। সে প্রীতিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। পুনম সব সময় ছেলেদের মত বেশভূষা নিয়ে থাকতো।

যার ফলে পুনমের কারণে প্রীতির দাম্পত্য সম্পর্ক ক্রমাগত ভেঙে যাচ্ছিল। এরপর প্রীতির মা উর্মিলা লখিমপুর খেরির মোহাম্মদী তহসিলের বাসিন্দা রামনিবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রামনিবাস পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি কিন্তু তিনি ভুতুড়ে কাজও করেন।

এর আগেও প্রীতির বাড়ির লোকজন রামনিবাসের কাছ থেকে ভূত-প্রতারণার কাজ করিয়েছিলেন। যার কারণে তিনি কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন। তাই তিনি রামনিবাসকে বিশ্বাস করতেন। সে পুনমকে প্রীতির বিয়ে না করার কারণ বলে এবং তাকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রামনিবাসকে দেড় লক্ষ টাকা দিতে বলে এবং অগ্রিম ৫০০০ টাকা দেয়। এরপর রামনিবাস প্রীতি ও পুনমকে তার কাছে একটি বনের মধ্যে ডেকে নিয়ে সেখানে দুজনের বিয়ে দেওয়ার কথা বলে।

রামনিবাস বলেছিলেন যে, আমি তন্ত্র বিদ্যা দ্বারা তোমাকে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত করবো। এর পরেই ১৮ এপ্রিল মেয়েটি তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। তার পরে রামনিবাস প্রীতির সঙ্গে পুনমকে আবার জঙ্গলে ডাকে। সেখানে রামনিবাস পুনমের উপর তন্ত্রসাধনা করেন এবং সুযোগ পাওয়া মাত্রই তাকে একটি পাত্র দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে। ঘটনাস্থলেই পুনমের মৃত্যু হয়। তারা পুনমকে হত্যা করার পরে জঙ্গলের ঝোপের মধ্যে তার মৃতদেহ লুকিয়ে রেখে চলে যায়।

গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসপি সিটি সুধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে, ১৮ মে নজরদারি এবং ইলেকট্রনিক প্রমাণের মাধ্যমে, পুলিশ লখিমপুর খেরির মহম্মদী তহসিলের ঘন জঙ্গলে গোমতী নদীর তীরে পুনমের কঙ্কাল খুঁজে পায়। সেখানে পুনমের ভাই পারমিন্দর পোশাক দেখে পুনমকে শনাক্ত করেন।

এরপর পারমিন্দর অভিযোগ করে যে, রামনিবাস, প্রীতি ও তার মা উর্মিলা তার বোনকে হত্যা করে। বর্তমানে পুলিশ তান্ত্রিক রামনিবাস ও সহেলী প্রীতিকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত পলাতক প্রীতির মা ঊর্মিলা। পুলিশ জানিয়েছে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।