বাড়ি ভাড়ার মতো এবার মোবাইল নম্বরেরও ভাড়া? মোদী সরকারের আজব প্রস্তাব!

   একেই বোধহয় বলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা! সদ্য সদ্য মোদী সরকার ৩.০ এর লঞ্চ হয়েছে। নতুন মোদী সরকারের টেলিকম মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।…

MOB
  

একেই বোধহয় বলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা! সদ্য সদ্য মোদী সরকার ৩.০ এর লঞ্চ হয়েছে। নতুন মোদী সরকারের টেলিকম মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তারপরেই টেলিকম নিয়ামক সংস্থা বা ‘T.R.A.I’ এমন একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যা জেনে ঘুম উড়তে চলেছে দেশের কোটি কোটি মোবাইল এবং ল্যান্ড লাইন ব্যবহারকারীদের। পড়তে চলেছে কপালে চিন্তার ভাঁজ।

T.R.A.I এর প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেক ল্যান্ড লাইন এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের তাদের প্রত্যেকটি চালু নম্বরের জন্য, একটি নির্দিষ্ট অংকের ভাড়া বা ‘ফি’ সরকারকে দিতে হতে পারে। নিয়ামক সংস্থার মতে এতে একদিকে যে রকম সরকারের আয়ও বাড়বে, সেই সঙ্গে দেশের টেলিকম ইনফ্রাস্ট্রাকচারের আরও আধুনিকীকরণ এবং উন্নতি করাও সম্ভব হবে।

   

এই গোটা প্রস্তাবটির একটি ঘটা করে অফিসিয়াল নামও দেওয়া হয়েছে, সেটি হল ‘রিভিশন অফ ন্যাশনাল নাম্বারিং প্ল্যান’। শুক্রবার পর যা খবর পাওয়া যাচ্ছে যে ইতিমধ্যেই দেশের প্রত্যেকটি টেলিকম সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থাগুলির কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়ে গিয়েছে প্রত্যেকটি সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রস্তাব নিয়ে,তারা তাদের সিদ্ধান্ত এবং সাজেশন নিয়ামক সংস্থাকে জানিয়ে দেয়।

তবে এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে। যেখানে মোদী সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে এখনও পর্যন্ত দেশের এরকম অনেক প্রত্যন্ত জায়গা রয়েছে যেখানে ঠিকঠাক মতো নেটওয়ার্কই পাওয়া যায় না। তার উপরে আবার গত কয়েক বছরে মাত্রাতিরিক্ত হারে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মোবাইলে রিচার্জ প্যাকেজের দাম!

এমনকি ফোন নম্বর চালু রাখবার জন্য, বাধ্য হয়ে প্রতি মাসে মোটা অংকের রিচার্জ করতে হচ্ছে অনেককেই! সেখানে তার উপরে আবার যদি মোবাইল নম্বরের জন্য আলাদা করে ফি বা ভাড়া দিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি যে আরও দুর্বিষহ হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে একেবারে নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এবং বয়স্কদের অনেকেই এক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহার করা থেকেই বিরত থাকবেন কিনা, সেটা নিয়েও ইতিমধ্যে অনেক বিশেষজ্ঞ সন্দেহ প্রকাশ করা শুরু করেছেন।

এদিকে কেন্দ্রের বিরোধী শিবিরের পরিষ্কার বক্তব্য, শুধুমাত্র কোষাগার ভরাতেই এই নয়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করছে মোদি সরকার। তাদের সাফ হুঁশিয়ারী, এই প্রস্তাব পাশ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকারকে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে শুধু বিরোধী শিবির নয়, দেশের কোটি কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীর ক্ষোভের মুখেও নতুন মোদী সরকার।