লখিমপুর খেরি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri )কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে পিষে মারার মামলার সাক্ষীদের উপযুক্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান অভিযুক্ত আশিস মিশ্রর জামিন…

Supreme Court orders protection of witnesses in Lakhimpur Kheri case

লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri )কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে পিষে মারার মামলার সাক্ষীদের উপযুক্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান অভিযুক্ত আশিস মিশ্রর জামিন নিয়েও প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। উত্তরপ্রদেশে সরকারকে এই জামিনের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

চলতি মাসের ২৪ তারিখে শীর্ষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশের ফলে ফের একবার শীর্ষ আদালতের কাছে ধাক্কা খেল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার।

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন মূল অভিযুক্ত তথা বিজেপি নেতা আশিস মিশ্রকে জামিন দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অভিযোগ, আশিস মিশ্রর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল চার কৃষকের। এক মৃত কৃষকের আত্মীয়ই আশিসের জামিন বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।

বুধবার মামলার শুনানির শুরুতেই আবেদনকারী সর্বোচ্চ আদালতে জানান, ১২ মার্চ লখিমপুর খেরি মামলার এক সাক্ষীর উপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার জেরে লখিমপুর মামলার সাক্ষীরা সকলেই আতঙ্কে রয়েছেন। আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পর দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চায়। একই সঙ্গে আদালত মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়।

সাক্ষীর উপর হামলার বিষয়টি শোনার পর প্রধান বিচারপতি উত্তরপ্রদেশে সরকারের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন এটা কি হচ্ছে? এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে সাক্ষীদের উপযুক্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।

অন্যদিকে আশিস মিশ্রর জামিনের নির্দেশ বাতিলের আরজি জানিয়ে আইনজীবী দুশ্যন্ত দাভে বলেন, হাইকোর্ট আশিসকে জামিন দিয়ে ভুল করেছে। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে গ্রহণ করেছে। যথাযথ তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সেই বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছে হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্ট শুধুমাত্র যোগী সরকারের পুলিশের এফআই আর দেখেই জামিন মঞ্জুর করেছে। বিজেপি সরকার যে সেই দলের নেতার ছেলেকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করবে এটা তো স্বাভাবিক। বিজেপি সরকারের নির্দেশেই আশিসের বিরুদ্ধে পুলিশ লঘু অভিযোগ এনেছিল। আশিসকে জামিন দেওয়া ঠিক হয়নি।