লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একের পর ঘটনায় ইডির (ED) হানা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছিল। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিল এই রাজ্যে একের পর এক হেভিওয়েট মন্ত্রী থেকে নেতারা। শুধু এই রাজ্যে কেন, অন্য রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদেরও গারদের হাওয়া খায়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এইবার সেই ইডিকেই তাঁর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তুলোধনা করল দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রয়োজনে ‘শ্বশুরবাড়ি’কেও অশান্ত করতে পারি, ‘জামাই’য়ের কথায় বিপদ দেখছে ভারত
প্রসঙ্গত দেশের শীর্ষ আদালত সংসদে পেশ হওয়া একটি তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে যে, ৫০০০ হাজার কেসের মধ্যে মাত্র ৪০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে জেলবন্দি। এই তথ্যকেই হাতিয়ার করে দেশের শীর্ষ আদালত ইডিকে ভর্ৎসনা করে জানিয়েছে যে, তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর জোর দিতে। শীর্ষ আদালতের ভাষায়, ‘ প্রসিকিউশনের গুণমান এবং প্রমাণের গুণমানের উপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
Bangladesh: প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় সেনার সিডিএসের
প্রসঙ্গত ছত্তিড়গড়ে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি। কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে বিগত দুমাস আগে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে যান। সেই কেসকেই উদাহরণস্বরূপ দেশের শীর্ষ আদালত বলে, ‘ কটা কেসে কতজন জেলে আছে সেটা বড় বিষয় নয়। কোর্টে প্রমাণ তুলে ধরুন। প্রমাণের পিছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিন।’ এখানেই শেষ নয়, কোর্ট ইডিকে কটাক্ষ করে বলে, ‘ কোনও ব্যক্তি বিশেষের কথাকে বড় করে তুলে ধরে কোর্টের সামনে এনে লাভ নেই। এর চেয়ে প্রমাণ সংগ্রহে জোর দিন।’