Ramdev:বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় স্বস্তি মিলল না রামদেবের

বাবা রামদেব আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য এসসির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ আজ মঙ্গলবার পতঞ্জলি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় শুনানির জন্য…

yoga guru ramdev

বাবা রামদেব আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য এসসির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ আজ মঙ্গলবার পতঞ্জলি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছেন। সুপ্রিম কোর্ট শোকজ জারি করেছে তাদের বিরুদ্ধে।সিনিয়র অ্যাডভোকেট বলবীর সিং বাবা রামদেবের পক্ষে হাজির হয়েছেন ।বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানির জন্য একত্রিত হয়েছে। এসসি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় শুনানি শুরু করেছেএসসি আদেশ মেনে,বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ আদালতে অবমাননার মামলায় হাজির হন।এসসি নোটিশের পরে,পতঞ্জলি এমডি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।

এমনকী আদালতে মিথ্যা কথা বলায় রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করারও হুঁশিয়ারি দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে অ্যালোপাথি ওষুধের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করায় যে দু’জনকে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করাহয় । শেষপর্যন্ত এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের নতুন করে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সেটা যে শেষ সুযোগ হতে চলেছে,তা স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে আজ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে যে যখন পতঞ্জলি চারদিকে গিয়ে বলছিল যে কোভিড সারাতে পারবে না অ্যালোপথি,তখন কেন সরকার চোখ বন্ধ করে রেখেছিল,সেই বিষয় সকলকে চিন্তায় ফেলে দেয় ।তবে শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে পতঞ্জলি আদালতে মিথ্যা কথা বলেছে বলে মনে হচ্ছে। বিচারপতি কোহলি বলেন,’আপনারা বলছেন যে নথিপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এইসব নথিপত্র পরে তৈরি করা হয়েছে। এটা স্পষ্টতই আদালতে মিথ্যা বলার মামলা।’

তাছাড়া গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আজ শীর্ষ আদালতে হাজিরা দেন রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালাকৃষ্ণন। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের দাখিল করা হলফনামার মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিমকোর্ট । তুমুল ভর্ৎসনা করে পতঞ্জলিকে। তবে পতঞ্জলির তরফে যে যুক্তি দেখানো হয়,তাতে চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। পতঞ্জলির তরফে দাবি করা হয়,সুপ্রিম কোর্ট যে ওইধরনের বিজ্ঞাপন দেখাতে বারণ করে দিয়েছে,সেই বিষয়ে জানত না পতঞ্জলির মিডিয়া উইং। এর পাশাপাশি বিচারপতি কোহলি স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন,এটা যদি সমর্থনযোগ্য না হয়,তাহলে কখনই পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের ক্ষমাপ্রার্থনায় কাজ হবে না।