সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া পাকিস্তানের সরকারি নীতি: রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের

News Desk: রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভায় ফের পাকিস্তানকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজল ভাট (kajal bhat)। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের…

pakistan

News Desk: রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভায় ফের পাকিস্তানকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজল ভাট (kajal bhat)। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের মদত দেওয়া পাকিস্তান (pakistan) সরকারের নীতিতে পর্যবসিত হয়েছে। তার পরিণতিতেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নিয়মিত সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে ভারত দ্বিতীয়বার ভাববে না।

রাষ্ট্রসংঘ-সহ (rastrasangha) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করেছে, ভারত কোনও আলোচনায় বসতে চাইছে না। এ প্রসঙ্গ টেনে এনে তার উত্তর দিয়েছেন কাজল। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বৈঠকে বসার মতো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব পাকিস্তানকে নিতে হবে। কেবলমাত্র সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। ভারত সবসময়ই চায়, পাকিস্তান-সহ প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। পাকিস্তানের সঙ্গে হয়তো কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু সেই সমস্যা সিমলা (simla contract) চুক্তি ও লাহোর ঘোষণা অনুযায়ী মিটিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে ভারত।

India's ambassador Kajal Bhat

রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই সভায় পাকিস্তান যথারীতি কাশ্মীর (kashmir) সহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দাসূচক মন্তব্য করে। পাক প্রতিনিধির ওই সমস্ত বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন কাজল। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চকেও অপব্যবহার করছে। নিরাপত্তা পরিষদে তারা অকারণেই ভারতের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সেখানে সংখ্যালঘুরা চরমপত্র কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

<

p style=”text-align: justify;”>কিন্তু জঙ্গিরা (terrorist) অবাধে বুক ফুলিয়ে ঘোরাফেরা করছে। দেশের সাধারণ মানুষের কিভাবে উন্নয়ন হবে সে দিকে নজর না দিয়ে জঙ্গিদের কিভাবে সাহায্য করা যায় সে কথাই ভেবে চলেছে পাকিস্তান সরকার। আসলে জঙ্গিদের সহযোগিতা করা পাকিস্তানের সরকারি নীতিতে পরিণত হয়েছে। এইসব বিষয় থেকে বিশ্বের নজর ঘোরাতে পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘে সময় পেলেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনছে। অকারণে অন্য দেশের ব্যাপারে নাক না গলিয়ে পাক সরকারের উচিত কিভাবে সে দেশের আর্থিক উন্নয়ন হবে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা।