সহপাঠীর নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (Fake Facebook Account), অশ্লীল মেসেজ, মানসিক চাপে আত্মঘাতী (Suicide) ছাত্রী (Student)। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজধানী লখনউতে এমনি এক ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে এক ছাত্র তার নিজের ক্লাসে পড়ুয়া এক নাবালিকা মেয়ের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করেছে। এরপর একই আইডি থেকে মেয়েটির পরিচিতদের কাছে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতে থাকে অভিযুক্ত। বিষয়টি জানতে পেরেই হতাশ হয়ে পড়েন এবং বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রী। মেয়েটির বাবা গোসাইনগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগে মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ের বয়স ১৭ বছর এবং সে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে তার ক্লাসে পড়ুয়া এক ছাত্রী তাকে উত্ত্যক্ত করত এবং আসা-যাওয়ার সময় তাকে ফলো করত। তার মেয়ে তাকে জানালে তিনি অভিযোগ নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের বাড়িতেও যান। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের তৎপরতা কমেনি। এতে বিরক্ত হয়ে এক মাস আগে তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় সুত্রে খবর, ওই নাবালিকা খুব কমই ঘর থেকে বের হতেন। অভিযুক্ত ওই ছাত্রীর ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি তৈরি করে। ওই আইডি ব্যবহার করে তাদের সকল আত্মীয়দের রিকুয়েস্ট পাঠাতে থাকে এবং তারপর তাদের অশ্লীল মেসেজ ও ছবি পাঠাতে শুরু করেন। এ ব্যাপারে অনেক স্বজন তাকে ফোনে জানান।
এই পরিস্থিতে সোমবার ওই নাবালিকা বাথরুমে যায় এবং সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে নির্যাতিতা বাবা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় বাধ্য করার এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।