উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মিরাটে (Meerut) গত শুক্রবার ঘটে গেল এক ভয়াবহ পদপিষ্টের (Stampede) ঘটনা, যা আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। হাথরসের পর মিরাটের এই দুর্ঘটনা যেন সেই স্মৃতিকে আবার জীবন্ত করে তুলল। মিরাটের কথাবাচক প্রদীপ মিশ্রের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে হাজির হয়েছিলেন কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী ও ভক্ত। অনুষ্ঠানটি কয়েক দিন ধরে চলছিল এবং শুক্রবার ছিল তার ষষ্ঠ দিন। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেদিন আচমকাই হুড়োহুড়ি পড়ে এবং পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে, যার ফলে বেশ কিছু মানুষ আহত হন।
উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ট্রেনের রুট পরিবর্তন, দুর্ভোগ এড়াতে দেখে নিন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভক্তরা একে অপরের ওপর চাপিয়ে পড়ে এবং হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পেরে, বেশ কিছু মানুষ পদপিষ্ট হন এবং অনেকেই আহত হন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থাও গুরুতর বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনা অনেককেই স্মৃতি ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে, বিশেষত গত জুলাইয়ে হাথরসের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঘটে যাওয়া পদপিষ্টের ঘটনাটির কথা, যেখানে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য যে, মিরাটের এই দুর্ঘটনা একই ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা গত কয়েক মাসে একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঘটেছিল। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ এবং আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা, এত বিশাল সংখ্যক মানুষের সমাগমে, যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ না থাকে, তবে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। মিরাটের ঘটনায়ও পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিলেও, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিরাটে যে অনুষ্ঠানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল প্রদীপ মিশ্রের কথাবাচকের একটি ধর্মীয় আলোচনা। এই অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করতে আসেন, যা এক ধরনের ধর্মীয় উৎসব হিসেবেও পরিচিত। সাধারণত এই ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক মানুষ একত্রিত হন, কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা না থাকলে এমন বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মিরাটের এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে দেয় যে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং মানুষের জন্য সুসংহত পরিকল্পনা থাকা কতটা জরুরি।
ঝরছে রক্তবিন্দু! প্রিয়াঙ্কাকে ‘১৯৮৪’ লেখা ব্যাগ উপহার বিজেপি সাংসদের
স্থানীয় প্রশাসন এই দুর্ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে এবং বিষয়টির ওপর গভীর তদন্ত শুরু হয়েছে। মিরাট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এবং পদপিষ্টের কারণে আহতদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এবং ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা রোধে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়েও বিশদভাবে পর্যালোচনা চলছে।
নেপাল-ভুটানের সীমান্ত নিয়ে একেবারে চিন্তিত নয় ভারত’! শিলিগুড়িতে দাবি শাহের
এছাড়া, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধরনের দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা বা হুড়োহুড়ি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়েও প্রশাসন কাজ করবে। এই ধরনের বিপদজনক পরিস্থিতি একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি করে, তাই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে।