দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, দু মাসের মধ্যে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী অবধি ছুটবে ট্রেন

যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতীয় সুবিধার জন্য একেকবার একই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এবার রেলের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত হয়েছে যার…

যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতীয় সুবিধার জন্য একেকবার একই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এবার রেলের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত হয়েছে যার ফলে উপকৃত হবেন বহু মানুষ। এবার কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী অবধি ছুটবে ট্রেন (Kashmir to Kanyakumari Train)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। 

 

   

সেইদিন হয়তো আর বেশি দূরে নেই যখন ট্রেনে করে অনায়াসেই কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আবার কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরে চলে যেতে পারবেন মানুষ। আর মাত্র আড়াই মাসের অপেক্ষা এর পরেই মাতা বৈষ্ণোদেবী যে পাহাড়ে অর্থাৎ ত্রিকূট পর্বত রয়েছে তার নীচে দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন আপনিও। কাশ্মীর দিক থেকে রিয়াসি পর্যন্ত রেললাইন প্রস্তুত হওয়ার পরে, রেলওয়ের সমস্ত ফোকাস কাটরা এবং রিয়াসির মধ্যে ১৯ কিলোমিটার রেলপথ সম্পূর্ণ করার দিকে।

 

এই রেল সেকশনে মাত্র একটি টানেলের কাজ শেষ করা বাকি আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই কাজও দীপাবলির মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে দেশের রেললাইন কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর কাজ শেষ হলেই দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে ছুটে চলা ট্রেন পৌঁছতে শুরু করবে ঋষি কাশ্যপের ভূমি কাশ্মীরে। কাটরা-রিয়াসি অংশে ত্রিকূট পর্বতমালার পাদদেশে ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ছাড়া বাকি কাজ শেষ হয়েছে। 

 

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই সুড়ঙ্গের খনন কাজ শেষ হয়। ভেতর থেকে সুড়ঙ্গ পাকা করার কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু ড্রেনেজ সিস্টেম, প্লাস্টার, বিদ্যুৎ, ভেন্টিলেশন, সিগন্যাল, মনিটরিং অ্যান্ড প্রটেকশন সিস্টেম এবং ট্র্যাক বসানোর কাজ বাকি থাকে টানেলে। বড় ধরনের কোনো বাধা না থাকলে দুই মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে।

 

২৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের ৭৭ শতাংশ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি ১১১ কিলোমিটার বানিহাল-কাটরা শাখায় বানিহাল থেকে সাঙ্গলদানের মধ্যে ৪৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রেন চলতে শুরু করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এখন সাঙ্গলদান থেকে রিয়াসি পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার ট্র্যাক শেষ হওয়ার পরে, ট্রেনটি এতেও চলার জন্য প্রস্তুত। 

 

 

 সমস্যা এরকম প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একের পর এক ব্রিজ, টানেল তৈরি করছে রেল। শুক্রবার রেলওয়ে সেফটি কমিশনার দীনেশ চাঁদ দেশওয়াল হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন। আশা করা হচ্ছে যে এই মাসের শেষের দিকে এই রেল বিভাগেও ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

 

বর্তমানে, রেলওয়ের পুরো মনোযোগ রিয়াসি থেকে কাটরা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রেল বিভাগকে সংযুক্ত করার দিকে। এই অংশে মাত্র ৩২০৯ মিটার টানেল (টি-৩৩) অবশিষ্ট আছে। এর ৬০ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে। সেটাও দীপাবলীর আগেই সম্পূর্ণ হবে এবং তারপর ত্রিকূট পর্বতের উপর বসে মা বৈষ্ণোদেবীর আশীর্বাদ নিয়ে ট্রেনে কাশ্মীর যাত্রা সম্পূর্ণ হবে। এই ভ্রমণ একটি আনন্দদায়ক এবং বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা দেবে সকলকে বলে মনে হচ্ছে।