অন্ধকারে ডুবতে পারে রাজধানী দিল্লি, আশঙ্কা বিদ্যুৎ মন্ত্রীর

কয়লার মজুত তলানিতে। কয়লার অভাবে বন্ধ হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন। তাই রাজধানী দিল্লির আঁধারে ডুবে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার এমন আশঙ্কার কথা শোনালেন দিল্লির…

কয়লার মজুত তলানিতে। কয়লার অভাবে বন্ধ হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন। তাই রাজধানী দিল্লির আঁধারে ডুবে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার এমন আশঙ্কার কথা শোনালেন দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। সংবাদসংস্থাকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কমপক্ষে তিন সপ্তাহের কয়লা মজুত থাকা দরকার। কিন্তু এই মুহূর্তে বহু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মাত্র একদিনের কয়লা মজুত আছে।

সকলেই এটা জানেন যে, বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখা যায় না। প্রতিদিন উৎপাদন করতে হয়। কিন্তু কয়লা সঞ্চয় করা যায়। সাধারণত একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২১ দিনের কয়লা মজুত রাখতে হয়। কিন্তু দিল্লির বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে মাত্র একদিনের কয়লা মজুত আছে। পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় মাপের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজধানীর বহু সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল ও মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়লার তীব্র সঙ্কট মেটাতে কি করা যায় তা নিয়ে মন্ত্রকের শীর্ষ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে শুক্রবার একটি বৈঠকে করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।

পাশাপাশি কয়লার সমস্যার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। সত্যেন্দ্র কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, অবিলম্বে কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দিল্লি নিষ্প্রদীপ হয়ে পড়বে। কয়লা সঙ্কটের কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছেন, রেলওয়ের ওয়াগানের সমস্যার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগে প্রতিদিন ৪৫০ রেক কয়লা আসত। কিন্তু এখন তা কমে হয়েছে ৪০০। তবে শুধু দিল্লি নয়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যেও কয়লার সঙ্কট দেখা দিয়েছে।