গাজা উন্মুক্ত কারাগার, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অবস্থানের বিরোধিতায় সোনিয়া গান্ধী

রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েল হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভোট দেয় নি ভারত। এবার তা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। যদিও তার দল…

রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েল হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভোট দেয় নি ভারত। এবার তা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। যদিও তার দল কংগ্রেস গাজায় হামাসের হামলার নিন্দা করেছে। সোনিয়া গান্ধী বলেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক প্রস্তাব নিয়ে ভারতের অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস।

দ্য হিন্দু পত্রিকায় লেখা এক আর্টিকেলে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘গাজায় মানবতার পরীক্ষা হচ্ছে। ইজরায়েলের ওপর নৃশংস হামলায় আমরা সম্মিলিতভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এখন ইজরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় আমরা আরও দুর্বল হয়ে পড়েছি। জানি না আমাদের সম্মিলিত চেতনা জাগ্রত হওয়ার আগে আরও কত মানুষ প্রাণ হারাবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইয়োম কিপুর যুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকীতে হামাস ইজরায়েলের ওপর নৃশংস হামলা চালায়, এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ এবং ২০০ জনেরও বেশি অপহরণ করা হয়।

সোনিয়া গান্ধী এই হামলাকে ইজরায়েলের জন্য একটি ট্র্যাজেডি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, গাজা ও এর আশেপাশে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর বৈষম্যমূলক অভিযানের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং বিপুল সংখ্যক নিরীহ শিশু, নারী ও পুরুষ নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, ইজরায়েলের কর্মকাণ্ড এখন প্রতিশোধের দিকে মনোনিবেশ করছে, যাতে নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।

তিনি ইজরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে কংগ্রেসের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি লিখেছেন, ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি হতে পারে না। তিনি বলেন, দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ইজরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন অবরোধ গাজাকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে। শান্তি তখনই আসবে যখন বিশ্ব নেতৃত্ব দেবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের কথা উল্লেখ করেননি। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, গাজায় ইজরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের বিষয়ে ভারতের অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে অনেক প্রভাবশালী দেশ সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। যুদ্ধ শেষ করার জন্য তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। তারপর পাল্টা আক্রমণ চালায় ইজরায়েল। এই যুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।