চিনের সঙ্গে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম বদলে হোক ‘তিব্বত সীমান্ত’, দাবি বিজেপি সাংসদের

ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। তবে, রফাসূত্রে রয়েছে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’। এবার, এই ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম বদলের আওয়াজ উঠল। সিকিম থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার বিজেপি…

Sikkim MP Wants LAC between india-china To Be Called Tibet Border, চিনের সঙ্গে 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা'র নাম বদলে হোক 'তিব্বত সীমান্ত', দাবি বিজেপি সাংসদের

ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। তবে, রফাসূত্রে রয়েছে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’। এবার, এই ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম বদলের আওয়াজ উঠল। সিকিম থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ দর্জি শেরিং লেপচা মোদী সরকারের কাছে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম পরিবর্তন করে ‘তিব্বত সীমান্ত’ রাখার দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কিত আলোচনার সময় রাজ্যসভায় ভাষণের সময় সাংসদ দর্জি শেরিং লেপচা বলেছিলেন যে, চিনের সঙ্গে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম ‘তিব্বত সীমান্ত’ হিসাবে উল্লেখ করা উচিত।

   

তাঁর যুক্তি, লেহ, লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে সিকিম পর্যন্ত ১৪০০ কিলোমিটারের সীমান্ত আদতে তিব্বতের অংশ। তাই ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম ‘তিব্বত সীমান্ত’ হওয়া উচিত।

বিজেপি সাংসদের আরও দাবি যে, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সরকারি সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া, যাতে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’কে ‘তিব্বত সীমান্ত’ বলা হয়।

তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে নিয়ে কুমন্তব্য উচিত হয়নি, আফসোস সিপিএমের

ভাষণে দর্জি শেরিং লেপচা জানিয়েছেন যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘেঁষেই চিন গ্রাম তৈরি করেছে, কিন্তু ভারত ওই অঞ্চলে সংরক্ষিত বন এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে এবং প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।সাংসদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ওই অঞ্চলের নীতি পর্যালোচনা করুক।

তিনি নাথুলা হয়ে কৈলাস মানসরোবর যাত্রা রুট পুনরায় চালু করার কথা বিবেচনা করার জন্য কেন্দ্রকেও আহ্বান জানিয়েছেন।

তিব্বতকে চিন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে। তিব্বতের ভূমি এখন বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে। এই অবস্থায় ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’কে ‘তিব্বত সীমান্ত’ উল্লেখ করে কূটনীতিকভাবে চাপ তৈরির চেষ্টায় ভারত বলেই মনে করা হচ্ছে।