মোদির ৪ ঘন্টার সফরের জন্য ২৩ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করছে শিবরাজ সিং চৌহান সরকার

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে ১৫ নভেম্বর দিনটি ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। যে সমস্ত আদিবাসী যোদ্ধা দেশের জন্য…

Narendra Modi

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে ১৫ নভেম্বর দিনটি ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। যে সমস্ত আদিবাসী যোদ্ধা দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছিলেন এই উৎসব তাদের উদ্দেশ্যে সমর্পণ করা হবে।

মধ্যপ্রদেশে জনজাতি গৌরব দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মধ্যপ্রদেশের মাত্র ৪ ঘন্টা থাকবেন তিনি। মোদির চার ঘণ্টার সফরের জন্য রাজ্যের বিজেপি সরকার খরচ করছে ২৩ কোটির বেশি টাকা।

করোনাজনিত কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অধিকাংশ মানুষের আয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। রেশনে দেওয়া বিনামূল্যের চাল ও গম বহু পরিবারের একমাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্র হুমকি দিয়েছে, তারা আর বিনামূল্যে রেশনে (ration) চাল গম সরবরাহ করবে না। কারণ তারা অযথা পয়সা খরচা করতে রাজি নয়। কিন্তু সেই মোদির জন্যই দু হাত উপুড় করে পয়সা ঢালছে মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং (shibraj ging chouhan) চৌহান সরকার।

জানা গিয়েছে, ১৫ নভেম্বর ৪ ঘন্টার জন্য ভোপালে (bhopal) আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ভোপালের জামবোরী ময়দানের মূল মঞ্চে মোদি থাকবেন মাত্র ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষকে এই অনুষ্ঠানে নিয়ে আসা হচ্ছে। তার জন্য তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিশালাকার প্যান্ডেল। এক সপ্তাহ ধরে ৩০০ জনের বেশি কর্মী এই কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষকে তুলে আনতে শুধুমাত্র পরিবহণের (transportation) জন্য খরচ করা হচ্ছে ১৩ কোটিরও বেশি টাকা। এরপর রয়েছে তাদের খাওয়া-দাওয়ার খরচ। এক সপ্তাহ ধরে জনজাতি গৌরব উৎসব চলবে।

এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছে, মোদি সরকার একদিকে যখন মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে তখন এভাবে রাজ্যের বিজেপি সরকারের মুঠো মুঠো টাকা খরচ করছে কিভাবে? অকারণে অর্থ জলে ফেলার কারণ কী? তবে মোদি বা তাঁর দলের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর ভোপালের হাবিবগঞ্জ (habibgang) স্টেশনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। হাবিবগঞ্জ স্টেশনটিকে একটি বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্বের যেকোনও উন্নত দেশের অত্যাধুনিক স্টেশনকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারবে হাবিবগঞ্জ স্টেশন।