বিশ্বের দূষিততম শহর দিল্লি, পিছিয়ে নেই কলকাতাও

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লির মুকুটে নতুন পালক। তবে এই পালক আনন্দের নয় বরং অত্যন্ত উদ্বেগের। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি…

delhi

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লির মুকুটে নতুন পালক। তবে এই পালক আনন্দের নয় বরং অত্যন্ত উদ্বেগের। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি (delhi)।

এই সমীক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০টি শহরের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যে তালিকায় রয়েছে ভারতের তিনটি শহরের নাম। এই তিন শহর হল যথাক্রমে দিল্লি, কলকাতা (kolkata) ও মুম্বই (mumbai)। উল্লেখ্য, আইকিউ এয়ার (iqair) নামে সুইজারল্যান্ডের আবহাওয়াবিদদের একটি দল গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এই গবেষণা সংস্থাটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত।

সমীক্ষা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভারত তথা গোটা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের এই তালিকায় কলকাতা ও মুম্বই রয়েছে যথাক্রমে চতুর্থ ও ষষ্ঠ স্থানে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে দিল্লির গড় এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ৫৫৬। দূষিত শহরগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে পাকিস্তানের লাহোর। অপর শহরগুলির মধ্যে বুলগেরিয়ার সোফিয়া (sofia) রয়েছে তৃতীয় স্থানে, ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব (gagreb) রয়েছে পঞ্চম এবং সার্বিয়ার বেলগ্রেড (belgrade) সপ্তম স্থানে। চিনের চেংদু (chendu) অষ্টম, নর্থ ম্যাসিডোনার স্কোপেজ (skopja) নবম এবং পোল্যান্ডের ক্রাকো (krako )১০ম স্থানটি দখল করেছে।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরেই দিল্লিতে দূষণ মাত্রা ছাড়া হয়েছে। এরই মধ্যে দীপাবলির পর দিল্লির দূষণ আরও বেড়েছে। পাশাপাশি নভেম্বরের প্রথম থেকেই দিল্লি ও সংলগ্ন হরিয়ানা (hariyana) ও পাঞ্জাবে (punjab) চাষিরা ফসলের গোড়া পুড়িয়ে থাকেন। নাড়া পোড়ানোর ফলে দূষণ একেবারে মাত্রাছাড়া হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

পরিবেশবিদরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাস দূষিত হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হল ফসলের গোড়া পোড়ানো। মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কৃষকদের এই কর্মকাণ্ডের ফলে রাজধানী দিল্লির বাতাস ক্রমশই বিষাক্ত হয়ে উঠছে।

শুধু দিল্লি নয়, ফসলের গোড়া পোড়ানোর ঘন কালো ধোঁয়ায় রাজধানী সংলগ্ন গ্রেটার নয়ডা, নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদের আকাশও কালো ধোঁয়ায় মুখ ঢেকেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন কলকারখানা ও যানবাহন থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড। এই মুহূর্তে দিল্লিতে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। আসন্ন শীতে বাতাসে এই ধূলিকণার পরিমাণ চারগুণ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা।

পরিবেশবিদরা আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দিল্লির বাতাসে যেভাবে দূষণের পরিমাণ বাড়েছে তাকে অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির বহু মানুষ শ্বাসকষ্ট, কাশি ও নাক-জ্বালার সমস্যায় ভুগছেন। বাতাসের দূষণ অবিলম্বে কমানোর জন্য যাতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ জানিয়ে আবেদন করেছেন কয়েকজন পরিবেশবিদ।