পাটরা চাওল জমি দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার শিবসেনার নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) বিরুদ্ধে বডসড়় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। মঙ্গলবার ইডি সঞ্জয় রাউতের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে রায়গড় জেলার আলিবাগে থাকা আটটি জমি ও দাদারে একটি ফ্ল্যাট। বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে রাউতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের একটি চাওল বা বস্তি পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে ১০৩৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। ইডি জানিয়েছে, ১,০৩৪ কোটি টাকার পাটরা চাওল দুর্নীতি মামলায় তদন্তের প্রয়োজনে রাউতের এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসে সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী প্রবীণ রাউতকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে। সেই মামলা তদন্তে নেমে এবার সঞ্জয় রাউতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
যদিও গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে শিবসেনা। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পর রাউত ট্যুইট করেছেন, “অসত্যমেব জয়তে”। একইসঙ্গে রাউত বলেছেন, আমি ভয় পাওয়ার লোক নেই। আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুক, আমাকে জেলে পাঠাক বা গুলি করুক আমি ভয় পাই না। আমি বালাসাহেব ঠাকরের হাতে গড়া শিবসৈনিক। আমি সেই লোক নই যে চুপ করে থাকব। ইডি তার মতো তদন্ত করুক, একদিন প্রকৃত সত্য নিশ্চিতভাবেই সামনে আসবে। যদি আমার বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ হয়, তাহলে আমি রাজনীতি ও সমাজ জীবন ছেড়ে চলে যাব।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক চক্রান্ত। এর সঙ্গে দুর্নীতির কোনও সম্পর্কই নেই। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পিএমসি ব্যাংক জালিয়াতি মামলায় সঞ্জয়ের স্ত্রী বর্ষা রাউতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।