মহারাষ্ট্র সরকারের জোট শরিক কংগ্রেস ও শিবসেনা (Shiv Sena)। তবে কংগ্রেসের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল শিবসেনা। তারা ফের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছে।
শিবসেনার মুখনায় সরাসরি কংগ্রেপত্র সামসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, কংগ্রেসের ভরসায় থাকলে কখনওই বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনা সম্ভব নয়। কংগ্রেস নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাই তাদের পক্ষে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা কখনওই সম্ভব নয়।
কংগ্রেসের বিকল্প হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৬ জন বিরোধী নেতার নাম তুলে ধরা হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে সব বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় আনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কাজ করছেন তার প্রশংসা করেছে শিবসেনা।
মহারাষ্ট্রের প্রধান শাসক দল শিবসেনার মুখপত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইউপিএতে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। কংগ্রেসের নেতৃত্ব বদল না হলে কখনওই কংগ্রেস সক্রিয় হতে পারবে না। কংগ্রেস সক্রিয় না হলে বিরোধী দলগুলিকে তাদের পক্ষে এক জায়গায় সম্ভব নয়। কংগ্রেসের পারিবারিক বিবাদ থাকতেই পারে, কিন্তু তার জন্য বিজেপি বিরোধী ঐক্য কেন মার খাবে। কংগ্রেসের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন মমতা। তিনি এখন বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তাঁকে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। উনি সব বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করতে পারবেন।
কংগ্রেসের বিকল্প হিসেবে শিবসেনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, চন্দ্রশেখর রাও এবং এমকে স্টালিনের কথাও বলেছেন।
শিবসেনার বক্তব্যে রাজনৈতিক মহল স্পষ্টতই অন্যরকম ইঙ্গিত পাচ্ছে। কারণ এতদিন শিবসেনা কার্যত কংগ্রেসের পাশেই ছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের পরেই শিবসেনা তার অবস্থান বদলাল। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হওয়ার কারণেই শিবসেনার মূল্যায়নে বদল হল।