হাসিনাকে ফেরাতে জোর আওয়াজ উঠেছে ওপার বাংলায়

৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তারপরই মিলিটারি হেলিকপ্টারে নয়াদিল্লিতে পৌঁছন তিনি। গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বোন রেহানাকে নিয়ে অবতরন করেন।…

Sheikh Hashina extradision trouble rise with india

৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তারপরই মিলিটারি হেলিকপ্টারে নয়াদিল্লিতে পৌঁছন তিনি। গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বোন রেহানাকে নিয়ে অবতরন করেন। তারপর থেকেই সেখানেই একটি সেফ হাউজে রাখা হয় তাঁকে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয় বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

আশ্রিতা হাসিনা, বাংলাদেশ থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরাচ্ছে ভারত

   

কিন্তু ভারতে আসার পর ৪৮ ঘন্টার ওপর কেটে গিয়েছে। হাসিনার (Sheikh Hasina) পরবর্তী গন্থব্য কোথায় হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ব্রিটেনকে আবেদন এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক সঙ্কেত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, হাসিনাকে ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ দেবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকা।

এমন অবস্থায় তিনি কোথায় যাবেন তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশই বাড়ছে। সঙ্গে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লিরও। তার কারণ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলরের পক্ষ থেকেও দাবি তোলা হয়েছে, হাসিনাকে ফিরিয়ে দিক ভারত। কারণ গণহত্যার অপরাধে তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে চেয়েছে সরব হয়েছে সংগঠনগুলি। এমন অবস্থায় হাসিনাকে এখন কী করবে তা নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছে ভারত।

হিংসায় জর্জরিত বাংলাদেশে ২৯ জন আওয়ামী লীগের নেতাদের দেহ উদ্ধার!

কারণ বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার এলে স্বাভাবিকভাবেই শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরত চাইবে। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কিন্তু হাসিনাকে আশ্রয় দিলে এই সংঘর্ষে কোনও একটি পক্ষ নিয়ে ফেলবে নয়াদিল্লি। যারফলে আগামীদিনে সমস্যায় পড়তে হতে পারে নয়াদিল্লিকে। কারণ বন্দী প্রত্যার্পণ নীতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে শুধু হাসিনার জন্য ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাইবে নয়াদিল্লি? স্বাভাবিকভাবেই না! কারণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে ভারত এমনটা করতে চাইবে না। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

বিনেশ ফোগাটকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কঙ্গনার, কী বললেন তিনি?

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্টার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হলেও সেইসময় কোনও বন্দি প্রত্যার্পন চুক্তি ছিল না দুদেশের মধ্যে। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার আমলেই দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির ফলে দুই দেশই একে অপরের মোস্ট ওয়ান্টেডদের বিনিময় করেছে। অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে ঢাকা। আবার মুজিব হত্যায় অভিযুক্ত বাংলাদেশের মাজেদকে ঢাকার হাতে তুলে দিয়েছিল নয়াদিল্লিও। সুতরাং আগামীদিনে হাসিনাকে নিয়ে এই বন্দি প্রত্যার্পন চুক্তিই গলার কাঁটা হয়ে উঠবে নয়াদিল্লির। এমনটাই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।