Shakuntala Choudhary: গান্ধীজির সহকারী শকুন্তলা চৌধুরী ১০২ বছর বয়সে প্রয়াত

প্রয়াত হয়েছেন শকুন্তলা চৌধুরী (Shakuntala Choudhary)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথে হেঁটেছিলেন আমৃত্যু। পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার।  ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে মিলেছিল…

প্রয়াত হয়েছেন শকুন্তলা চৌধুরী (Shakuntala Choudhary)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথে হেঁটেছিলেন আমৃত্যু। পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। 

ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে মিলেছিল তাঁর মৃত্যু সংবাদ। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘শকুন্তলা চৌধুরী জি গান্ধীজির জীবন দর্শনে আস্থা রেখেছিলেন আজীবন। গান্ধীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত সরণিয়া আশ্রমে বহু মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। শকুন্তলা চৌধুরী জির প্রয়াণ সংবাদে আমি বিমর্ষ। অগুনতি ভক্ত এবং ওনার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।’

শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত শকুন্তলা চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদে আমি ব্যথিত। স্বার্থহীনভাবে মানুষের সেবা করে গিয়েছেন নিরন্তর। পদ্মশ্রী প্রাপ্ত অসামান্য এই ব্যাক্তিত্ব ছিলেন অহিংসার বিশ্বাসী। ১৯৪৬ সালে গুয়াহাটির সরণিয়া আশ্রমে মহাত্মা গান্ধী নিজে এসেছিলেন।’

শকুন্তলা চৌধুরী জামনালাল বাজাজ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়াও রাজ্য ও জাতীয় স্তরে পেয়েছিলেন একাধিক পুরস্কার। তিনি আসাম শাখায় ১৯৪৭ সাল থেকে গ্রাম সেবিকা বিদ্যালয়, যা গান্ধীবাদী প্রতিষ্ঠান এবং কস্তুরবা গান্ধী ন্যাশনাল মেমোরিয়াল ট্রাস্ট (KGNMT) এর অগ্রভাগে ছিলেন।

বিনোবা ভাবের ঘনিষ্ঠ সহযোগীও ছিলেন তিনি। অংশ নিয়েছিলেন পদযাত্রায়। গান্ধীজির আন্দোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন শকুন্তলা চৌধুরী। একজন দোভাষী হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং গান্ধীকে অসমীয়া ভাষায় মানুষে কাছে তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছিলেন।