‘গুজরাট দাঙ্গা’: জাফরির আবেদন খারিজ করে নরেন্দ্র মোদীকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট

গুজরাটের হিংসা নিয়ে ফের স্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী। ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা মামলায় জাকিয়া জাফরির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট গোষ্ঠি সংঘর্ষের অন্যতম আলোচিত…

গুজরাটের হিংসা নিয়ে ফের স্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী। ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা মামলায় জাকিয়া জাফরির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

গুজরাট গোষ্ঠি সংঘর্ষের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল গুলবার্গ সোসাইটিতে হামলা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় খুন করা হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এহসান জাফরিকে।

গুলবার্গ সোসাইটিতে হামলা ও এহসান জাফরি সহ অন্যান্যদের খুন ছিল সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র। এমন অভিযোগ তুলে নিহত এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।

জাকিয়া সহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ,  তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিংসার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট জাকিয়ার দেওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সিট গঠন করে। সিট-কে এই মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, সিট এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে তাদের অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে৷ ২০১২ সালে সিট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করে।

সিটের ক্লোজার রিপোর্টে মোদী-সহ ৬৩ জনকে এই হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ খারিজ হয়। রিপোর্ট না মেনে নিহত এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পুনরায় তদন্ত চালানোর জন্য আবেদন দায়ের করেন। সেই আবেদন খারিজ করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট। ২০১৭ সালে গুজরাট হাইকোর্টও একই নির্দেশ বহাল রাখে।

২০১৮ সালে ফের সুপ্রিম কোর্টে যান জাকিয়া জাফরি। তবে আপিলের শুনানি তিন বছর ধরে করা সম্ভব হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, এর কারণ ছিল আবেদনকারীর নিজের শুনানি স্থগিত করার অনুরোধ। গত বছর, আদালত এই বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে শুনানি শুরুর নির্দেশ দেয়।

মামলার শুনানিতে জাকিয়ার হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি এসআইটি-র বিরুদ্ধে প্রমাণ উপেক্ষা করার অভিযোগ করেছিলেন। বিচারপতি এ এম খানউইলকর, দীনেশ মাহেশ্বরী এবং সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ আজ এই বিষয়ে রায় দিয়েছে। বেঞ্চ বলেছে যে আপিলটি আদেশের জন্য উপযুক্ত নয়।