মোদীর ভাষণ নয়, সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের অপেক্ষায়: সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা

News Desk: কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর পরই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন। কৃষক আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা প্রেস…

Rakesh Tikait

News Desk: কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর পরই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন। কৃষক আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাল, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকে স্বাগত। তবে মুখের ঘোষণা নয়, আইন বাস্তবে প্রত্যাহার করে দেখাক সরকার।

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত ও সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সরকারের অবস্থানকে স্বাগত জানান।

   

উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা আগেই দাবি করেছেন, আসন্ন সংসদ অধিবেশনের সময় দিল্লি ঘিরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হবে। সরকারকে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। তাঁর ঘোষণার পরেই আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে নতুন করে জোশ ছড়ায়।

Farmers to hold rail roko on Oct 18

শুক্রবার গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে শিখ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি এই ভাষণেই বলেন, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে।

মোদীর ভাষণে তুমুল আলোড়ন ছড়ায় হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে। মূলত দেশের এই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের নিয়েই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অভিযোগ, নতুন তিনটি কৃষি আইনের মাধ্যমে সরকার দেশের কৃষি ব্যবস্থাকেই বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে।

প্রবল আন্দোলন, দিল্লি অভিযান, লালকেল্লায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘিরে বিতর্কিত পরিস্থিতি হয়েছে বারবার। কৃষকদের আন্দোলনকে খালিস্তানি জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বহু নেতা, সংঘ পরিবার সংশ্লিষ্ট হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির অনেকেই। কৃষক নেতারা বলেছেন, সরকারকেই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।

অবশেষে আইন প্রত্যাহারের কথা জানালেন মোদী। তবে সংসদে আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই জানাচ্ছে কিষাণ মোর্চা।