‘জনবিন্যাস পরিবর্তন’ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে বড় আর্জি RSS-এর!

karnataka-police-allow-rss-march-in-kharges-stronghold-under-strict-guidelines

নয়াদিল্লি: দেশের জনবিন্যাস পরিবর্তিত হচ্ছে বলে অনেক আগে থেকেই সুর চড়িয়ে আসছে বিজেপি ও তাঁর আদর্শিক গুরু রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS)। এবার RSS-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) কেন্দ্র সরকারের কাছে জনবিন্যাস পরিবর্তন (Demographic Change) রোধে বড় আর্জি জানালেন। জনসংখ্যা নীতি প্রণয়নের দাবী জনান হোসাবলে।

Advertisements

বলা বাহুল্য, এই বছরই স্বাধীনতা দিবসের দিন ‘জনবিন্যাস পরিবর্তন’ রোধে বড় মাপের ‘মিশনের’ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে গিয়েও “দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের” চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য উচ্চ-স্তরের কমিটির কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

   

মূলত ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ’ হচ্ছে দাবী করে বহুদিন থেকেই জনবিন্যাস পরিবর্তন নিয়ে সুর চড়িয়ে আসছে RSS। সম্প্রতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘৩ সন্তান নীতি’ ঘোষণা করেছিলেন সংঘ পরিচালক মোহন ভাগবত।

তিনি বলেছিলেন: “অনুপ্রবেশ এবং ধর্মান্তর বন্ধ করা উচিত। যখন জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতার কথা বলা হয় তখন লোকেরা বলে যে এটি একটি সাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনা। কিন্তু ভাবুন জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা জাতীয় নিরাপত্তার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে। ভাবুন যারা এই ধরনের কথা বলছেন তারা জাতীয় স্বার্থে বলছেন নাকি কেবল সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বলছেন।”

জনবিন্যাস পরিবর্তনের পেছনে ৩ টি কারণ তুলে ধরেন হোসাবেলে

Advertisements

“জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতার” জন্য মূলত তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন RSS-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। সেগুলি হল, “অনুপ্রবেশ, ধর্মান্তর এবং কিছু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চ হার” নামোল্লেখ না করলেও মূলত মুসলিম সম্প্রদায়কেই যে ইঙ্গিত করেছেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক তা বলাই বাহুল্য।

পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে হোসাবলের উদ্বেগ

শনিবার পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করেন তিনি। হোসাবেলের (Dattatreya Hosabale) দাবী, তৃণমূল শাসনামলে বাংলায় হিংসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। বাংলায় আমাদের কাজ বাড়ছে। কিন্তু সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে, গত নির্বাচনের পর ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তবর্তী একটি রাজ্যকে হিংস্র ও অস্থিতিশীল করা দেশের জন্য ভালো হবে না।”