RRB: রেল নিয়োগের দূর্নীতিতে বেকারদের ক্ষোভ, জ্বলন্ত গয়া উত্তপ্ত বারাণসী প্রয়াগরাজ

সাধারণতন্ত্র দিবসে বেকার বিক্ষোভ।  হু হু করে ছড়াচ্ছে সেই ক্ষোভ। RRB NTPC নিয়োগ ঘিরে অশনি সংকেত। সাধারণতন্ত্র দিবসে দেশের বেকারত্ব সমস্যার তীব্র ক্ষোভ টের পেল…

সাধারণতন্ত্র দিবসে বেকার বিক্ষোভ।  হু হু করে ছড়াচ্ছে সেই ক্ষোভ। RRB NTPC নিয়োগ ঘিরে অশনি সংকেত।

সাধারণতন্ত্র দিবসে দেশের বেকারত্ব সমস্যার তীব্র ক্ষোভ টের পেল মোদী সরকার। রেল নিয়োগে (RRB) দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ৪৮ ঘন্টার ক্ষোভ বিক্ষোভ ২৬ জানুয়ারি তীব্র আকার নিয়েছে। বিহার, উত্তর প্রদেশ জুড়ে সেই ক্ষোভের হাওয়া ছড়াতে শুরু করেছে। দুটি রাজ্যেই সরকারে বিজেপি নেতৃত্বে এনডিএ।

২৬ জানুয়ারি দিনভর বিহার উত্তপ্ত। গয়াতে ভয়াবহ বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। রেল বোর্ড-এনটিপিসি চাকরি পরীক্ষার ফলাফলে বিলম্ব ও দুর্নীতির অভিযোগে হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীর রোষে গয়া জংশনের ট্রেন জ্বলে গেল। সেই বিক্ষোভের রেশ ছড়ায় পাটনাতে। পুলিশ কঁদানে গ্যাস চার্জ করে।

মোদীর কেন্দ্র বারাণসী গরম

বিহারে বিক্ষোভের ঢেউ রাতেই উত্তর প্রদেশের বারাণসী সরগরম। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ু়য়ারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, আরআরবি-এনটিপিসি পরীক্ষায় স্বচ্ছ নিয়োগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই বারাণসীতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে।

বারাণসীর সাংসদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। ফলে বিড়ম্বনায় বিজেপি। আসন্ন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের আগে বিএইচইউ পড়ুয়াদের বিক্ষোভে অশনি সংকেত দেখছে রাজ্যের শাসক দল।

বেকারদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র প্রয়াগ

একইভাবে রেল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) প্রবল উত্তপ্ত। এখানে রেল লাইনের উপর হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীকে সামলাতে পুলিশ লাঠি চালায়। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়তে থাকেন। মঙ্গলবার থেকে এমনই চলছে প্রয়াগরাজে। ভোটের আগে ও সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন তুমুল বিক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছে। চাপের মুখে প্রয়াগরাজের এসএসপি অজয় কুমার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনজনের বিরুদ্ধে প্রবল লাঠিচার্জের অভিযোগ রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এদের বিরুদ্ধে রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনা হচ্ছে।

গোয়েন্দা বিভাগের গাফিলতি

সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেশজুড়ে কড়া সতর্কতা জারি আছে। গয়ার জ্বলন্ত পরিস্থিতির পর প্রশ্ন উঠছে গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়ে। আরও প্রশ্ন, কেন বিক্ষোভের কিছুই টের পেলনা কেন্দ্র ও বিহার সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রশাসন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অভিযোগ, গয়া জংশনে যেভাবে ট্রেনে আগুন ধরানো হয় তা রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর গাফিলতি। তবে কর্মপ্রার্থীদের রোষের মুখে অসহায় হয়ে পড়ে সব প্রশানিক নিরাপত্তা।

ড্যামেজ কন্ট্রোলে রেলমন্ত্রী

গয়া জংশনের বিক্ষোভের জ্বলন্ত রূপ দেখে চাপে পড়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তড়িঘড়ি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পরীক্ষা প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, আমি চাকরি প্রার্থীদের অনুরোধ করছি, তারা যেন আইন হাতে তুলে না নেয়। আমরা তাদের দ্বারা উত্থাপিত অভিযোগ এবং উদ্বেগগুলি গুরুত্ব সহকারে সমাধান করব।