Tripura: হোটেলে পুলিশ হানায় বহিরাগতরা চিহ্নিত, তবুও রিগিং আশঙ্কা ত্রিপুরায়

ত্রিপুরায় চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভয়াবহ রিগিং আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগ, গত ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের পর যতগুলি ভয়ানক ভোট হয়েছে ২৩ তারিখ তারই পুনরাবৃত্তি হতে…

ত্রিপুরায় চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভয়াবহ রিগিং আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগ, গত ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের পর যতগুলি ভয়ানক ভোট হয়েছে ২৩ তারিখ তারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। এদিকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা অনুসারে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

আগরতলা সহ বাকি তিনটি বিধানসভা এলাকার কোনও হোটেল বা অনুষ্ঠান বাড়িতে যারা থাকছিল তাদের বহিরাগত চিহ্নিত করে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিল পুলিশ। বিভিন্ন হোটেলে হানা দিচ্ছে পুলিশ।

উরনির্বাচনে সর্বাধিক রিগিং আশঙ্কা থাকছে আগরতলা-৬ কেন্দ্রে। এখানকার কংগ্রেস প্রার্থী ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণের উপর ‘প্রাণঘাতী’ হামলায় অভিযুক্ত শাসক বিজেপির তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক। সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপি ছেড়ে পুনরায় কংগ্রেসে ফিরেছেন। তাঁর রাজনৈতিক শিষ্য সুশান্ত চৌধুরী। এই কেন্দ্রে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম লড়াই করছে। তবে মূল লড়াই বিজেপি বনাম কংগ্রেসের।

আগরতলার বড়দোয়ালি টাউন কেন্দ্রে লড়াই শাসক বিজেপি বনাম বিরোধী সিপিআইএমের। এখান থেকে বিজেপির প্রার্থী ও মু়খ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। তিনি জিতলে বিধায়ক হবেন। পরাজিত হলে চরম বিড়ম্বনা শাসক দলের।

সুরমা কেন্দ্রে মূল লড়াই উপজাতি দল তিপ্রা মথার সঙ্গে বিরোধী দল সিপিআইএমের। এখানে শাসক বিজেপি লড়াই করলেও তাদের সংগঠন দূর্বল। সুরমার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস দলত্যাগ করে মাথা মুড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যান। তিনি টিএমসি ত্যাগ করেছেন। তিনিও ভোটে আছেন।

যুবরাজনগর কেন্দ্রে মূল লড়াই বিজেপি বনাম সিপিআইএমের। এখানে রিগিং হবার প্রবল আশঙ্কায় ভোটাররা। ফলে পুলিশের ততপরতা চলছে।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করাতে কথা দিয়েছে কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে সংযোগ করেছেন। এ নিয়ে প্রবল সরগরম রাজ্য। বিরোধী দল সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীর হুঁশিয়ারি, সংঘবদ্ধ হয়ে ভোট দিন ভোটাররা। রিগিং চুরমার করুন একসাথে গিয়ে।

শাসক বিজেপির দাবি, উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রের জয় নিশ্চিত। জনতা উম্নয়নের পক্ষে। তবে বিজেপির গলার কাঁটা মু়খ্যমন্ত্রী বদল। রাজ্যে ভোট ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসে বারবার অভিযুক্ত বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়েছে বিজেপি।