তিন কোটি টাকার আয়কর নোটিস পেয়ে ঘুম উধাও রিকশচালক প্রতাপ সিংয়ের

News Desk: তিন কোটি টাকারও বেশি আয়কর অবিলম্বে মেটানোর জন্য প্রতাপ সিংকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। ওই নোটিস পেয়ে রাতের ঘুম উধাও হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরার…

Pratap Singh

News Desk: তিন কোটি টাকারও বেশি আয়কর অবিলম্বে মেটানোর জন্য প্রতাপ সিংকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। ওই নোটিস পেয়ে রাতের ঘুম উধাও হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরার বাকলপুরের অমর কলোনির বাসিন্দা প্রতাপের।

আয়কর দফতরের ওই নোটিস পেয়ে প্রতাপ ইতিমধ্যেই পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রতাপ সিং একজন রিকশাচালক। একজন দরিদ্র রিকশাচালককে আয়কর দফতর তিন কোটি টাকার নোটিস পাঠানোয় সকলেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

মথুরার হাইওয়ে থানার স্টেশন হাউস অফিসার অনুজ কুমার জানিয়েছেন, প্রতাপ সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের করেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তদন্ত শুরু করছেন। প্রতাপ জানিয়েছেন, সম্প্রতি ব্যাংক তার কাছে প্যানকার্ড চেয়ে পাঠায়। প্যানকার্ড তৈরির জন্য তিনি বাকলপুরে প্রকাশ উপাধ্যায়ের জন সুবিধা কেন্দ্রে যোগাযোগ করেন। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতাপ প্যান কার্ডের রঙিন ফটোকপি হাতে পান। প্রতাপ লেখাপড়া জানেন না। তাই তিনি প্যানকার্ড এবং প্যান কার্ডের ফটোকপির মধ্যে তফাৎ বুঝতে পারেননি।

আসল প্যানকার্ড পেতে ওই জন সুবিধা কেন্দ্রে দিনের পর দিন যেতে হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন মাস পর প্যানকার্ড হাতে পান প্রতাপ। এরই মধ্যে ১৯ অক্টোবর আয়কর দফতর থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। শুধু ফোন নয়, লিখিত নোটিস পাঠিয়ে প্রতাপকে অবিলম্বে তিন কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৬ টাকা জমা দিতে বলা হয়। আয়কর দফতরের ওই নোটিসই প্রতাপের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

পুলিশের পরামর্শে প্রতাপ আয়কর দফতরে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে, কোনও একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নাম ভাড়িয়ে প্রতাপের নামে জিএসটি নম্বর বের করে ব্যবসা করছে। ওই ব্যক্তি ২০১৮-১৯ সালে প্রায় ৪৪ কোটি টাকার ব্যবসা করে। সে কারণেই তাঁকে আয়কর দেওয়ার জন্য ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি জিএসটি নম্বরটি প্রতাপের নামে বের করেছিল তাই আয়কর দেওয়ার জন্য প্রতাপকেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।