উত্তর সিকিমের হ্রদ ফেটে বিপর্যয়। তিস্তার বন্যায় (teesta flood) জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ লাল সতর্কতা জারি হয়। জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউমেক জল। আরও জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভবনা।আবার, তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে। তিস্তা পারের বাসিন্দাদের মাইকিং করা হচ্ছে। নদীপারে থাকা এলাকাবাসীদের সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ ৩৪৮৪ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছিল। এরপর সকাল ৭ টায় ৭০২৬ কিউমেক জল ছাড়া হয়। এক ঘণ্টা পর সকাল ৮ টায় ৫০২৩ কিউমেক জল ছাড়া হয়। সকাল ৯ টায় সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯৫১.৩৮ কিউমেক জল। সকাল ১০ টায় ৮২৫২.৪০ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, জলস্ফীতির পাশাপাশি সিকিমের পাহাড়ে প্রবল ধস নেমেছে। বন্ধ হয়েছে জাতীয় সড়ক NH10, বহু মানুষকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী বিভিন্ন এলাকায় রাখা হয়েছে। সিকিম এবং কালিম্পংয়ের দুই এলাকার পুলিশ আধিকারিকরা মোতায়েন রয়েছেন।
এর আগে ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ড বিপর্যয় দেখেছিল গোটা ভারত। এবার সিকিমের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখছে বঙ্গ। বন্যার কবলে জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন। ফলে শিলিগুড়ির সাথে সিকিমের মূল যোগাযোগ আপাতত বন্ধ। জাতীয় সড়কে পরপর ধস নেমেছে। আইএমডি উত্তর সিকিমের চুংথাং-এ একটি হ্রদ বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার ফলে তিস্তা নদীর জলের স্তর উদ্বেগজনক স্তরে বৃদ্ধি পাবে।
বুধবার সিকিমের উত্তর ও পূর্ব জেলাগুলিতে তিস্তা নদীর জলের স্তর রাতারাতি উদ্বেগজনক স্তরে বেড়ে যাওয়ায় বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সিকিমের কিছু অংশে গতকাল রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে আকস্মিকভাবে নদীর জল বৃদ্ধির পর বাসিন্দাদের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে সিকিম প্রশাসন।