Ram Mandir: রামলালার অভিষেকের আগে সরযূতে স্নান করবেন মোদী, জানুন এই নদীর মাহাত্ম্য

২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার অভিষেকের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন, যার জন্য তিনি বিশেষ…

২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার অভিষেকের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন, যার জন্য তিনি বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন।জানা গিয়েছে, অভিষেকের আগে অযোধ্যার পবিত্র সরযূ নদীতে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী এখন মাটিতে শুচ্ছেন এবং ডাবের জল খাচ্ছেন।কঠোর নিয়ম পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

অভিষেক অনুষ্ঠানের আর মাত্র ২ দিন বাকি। এদিন রামলালার গর্ভগৃহে ঢোকার আগে সরযূ নদীতে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্নান সেরে আমরা কলশে করে পবিত্র সরযূ নদীর জল নিয়ে রাম মন্দির পর্যন্ত হাঁটবেন।প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের একদিন আগে ২১ জানুয়ারি অযোধ্যা সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

   

সরযূ নদীর মাহাত্ম্য

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সরযূ নদীতে কেন স্নান করবেন। এর পেছনেও রয়েছে ধর্মীয় মাহাত্ম। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী,ভগবান শ্রী রাম স্বয়ং এই নদীতে সমাধি গ্রহণ করেছিলেন। ভারতে গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, নর্মদার মতো অনেক পবিত্র নদী রয়েছে কিন্তু সেগুলির মধ্যে সরয়ু নদীর নিজস্ব জায়গা রয়েছে। অযোধ্যায় অবস্থিত পবিত্র সরয়ু নদী ভগবান শ্রী রামের নির্বাসন থেকে তাঁর প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী।

ভগবান রাম ভাই লক্ষ্মণকেও এই পবিত্র নদীর গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন। ভগবান রাম লক্ষ্মণকে বলেছিলেন যে এই নদীটি এতই পবিত্র যে সমস্ত তীর্থযাত্রীরা এখানে দর্শন ও স্নানের জন্য আসেন। কথিত আছে যে, শুধু সরয়ু নদীতে স্নান করলেই সমস্ত তীর্থস্থান দর্শন করার মতো পুণ্য পাওয়া যায়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ব্রহ্ম মুহুর্তে সরযূ নদীতে স্নান করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়।

সরযূ নদী কিভাবে তৈরী হয়েছিল?

সরযূ নদী ছাড়া অযোধ্যার আলোচনা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।অনেক ধর্মীয় পুরাণ ও ধর্মগ্রন্থে সরযূ নদীর একটি পৃথক বর্ণনা রয়েছে। পুরাণ অনুসারে, সরয়ু ও গঙ্গা নদীর সঙ্গম করেছিলেন ভগবান রামের পূর্বপুরুষ রাজা ভগীরথ। কথিত আছে যে, ভগবান বিষ্ণুর চোখ থেকে সরয়ু নদী আবির্ভূত হয়েছিল। শাস্ত্র অনুসারে শঙ্খাসুর রাক্ষস বেদ চুরি করে সমুদ্রে ফেলে দেয় এবং নিজেও আত্মগোপন করে।

সেই সময় ভগবান বিষ্ণু মৎস্য অবতার গ্রহন করে অসুরকে বধ করেন। তারপর ভগবান ব্রহ্মার কাছে বেদ হস্তান্তর করার পর তিনি তার আসল রূপ ধারণ করে। সেই সময় আনন্দে ভগবান বিষ্ণুর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগে। ভগবান বিষ্ণুর চোখ থেকে বেরিয়ে আসা সেই অশ্রু ব্রহ্মা মানসরোবরে রাখেন। বৈবস্বত মহারাজ তীর নিক্ষেপ করে ওই জল মানসরোবর থেকে বের করে দিয়েছিলেন, মানসরোবর থেকে বেরিয়ে আসা এই স্রোতকে সরযূ নদী বলে।