Ram Mandir: রাম মন্দির নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেওয়া ৫ বিচারপতিকে ‘বিশেষ’ আমন্ত্রণ

আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসবেন। জানা…

আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসবেন। জানা গিয়েছে, রাম মন্দির নিয়ে যে পাঁচ বিচারপতি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন, তাঁদের রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে মন্দির ট্রাস্ট।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাম জন্মভূমি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতিকে ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মন্দির ট্রাস্ট। আমন্ত্রিতদের মধ্যে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, বিচারক এবং শীর্ষ আইনজীবী সহ ৫০ জনেরও বেশি আইনবিদও রয়েছেন।

আমন্ত্রিতদের মধ্যে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপালের নামও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের শুনানিকারী পাঁচ বিচারক যাদেরকে ২২ জানুয়ারি আসন্ন অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এছাড়া অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির এর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন অযোধ্যা মামলার শুনানির সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী কে পরাশরণ, হরিশঙ্কর জৈন, বিষ্ণু শঙ্কর জৈন, সিএস বৈদ্যনাথন ছাড়াও মহেশ জেঠমালানি, এসজি তুষার মেহতা, প্রাক্তন এজি কে ভেনুগোপাল, মুকুল রোহাতগি। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি জি এস খেহার, বিচারপতি ডি কে জৈন, বিচারপতি জ্ঞান সুধা মিশ্র, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, বিচারপতি চেলামেশ্বর, বিচারপতি রমা সুব্রামানিয়াম, বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণান, বিচারপতি অনিল দাভে, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি, বিচারপতি এম. কে শর্মা, বিচারপতি আদর্শ গয়াল, বিচারপতি ভিএন খারে-এর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ৯ নভেম্বর ২০১৯-এ নেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলেছিল যে ২.৭৭একর বিতর্কিত জমি রামলালার জন্মস্থান। আদালত এই জমিটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল যা পরে ভারত সরকার পরে গঠন করেছিল। আদালত সরকারকে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে একটি পৃথক ৫ একর জমি দিতে বলেছিল যাতে বোর্ড একটি মসজিদ তৈরি করতে পারে। জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিক্ষুব্ধ জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয়। এরপর রামমন্দির আন্দোলন ভিন্ন মোড় নেয়।