নগ্ন করে মহিলাকে ঘোরানোর আরও এক ভাইরাল ছবিতে দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে। এবার এই ঘটনা কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে। রাজ্যের (Rajashthan) মুখ্যমন্ত্রী আক্রান্ত মহিলার সাথে দেখা করে তাকে আর্থিক সহায়তা ও সরকারি চাকরির আশ্বাস দিলেন। সম্প্রতি বিজেপি শাসিত মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষের জেরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল। সেই ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেয়। এরপর পশ্চিমবঙ্গ থেকে এমন ধরনের ঘটনার অভিযোগ আসে। এবার রাজস্থান।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শনিবার জানান যে রাজ্য আক্রান্ত মহিলাকে ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য এবং একটি সরকারি চাকরি দেবে। অভিযোগ ওই মহিলাকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রকাশ্যে মারধর করে ছিনতাই করে। ঘটনাটি প্রতাপগড় জেলার। নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই ঘোষণা করেন।
X-এ একটি পোস্টে গেহলট ঘোষণা করেণ, “তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা এবং ভুক্তভোগীকে সরকারি চাকরির ঘোষণা করা হয়েছে।”
धरियावद में हुआ अमानवीय कृत्य नितांत असहनीय और घोर निंदनीय है। आज धरियावद पहुंचकर पीड़िता से मिले और उन्हें ढांढस बंधाते हुए यह विश्वास दिलाया कि प्रशासन और पूरा प्रदेश इस संवेदनशील घड़ी में आपके साथ है।
राजस्थान की यह बेटी बहुत बहादुर है और इन दर्दनाक लम्हों का उन्होंने बहुत… pic.twitter.com/0Lkom0lbpC
— Ashok Gehlot (@ashokgehlot51) September 2, 2023
গত ৩১ অগাস্ট, একজন মহিলাকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করে এবং নগ্ন করে প্যারেড করেছিল বলে অভিযোগ। তারা দাবি করেছিল যে সে আশেপাশের এক ব্যক্তির সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। ঘটনাটি ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে এবং ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তা মোকাবেলা করেছে। পুলিশ এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার না করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেছে। ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও বলেছিলেন যে মামলাটি দেখার জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে।
গেহলট আরও জানিয়েছেন যে এই মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে মহিলার স্বামী কানা মীনা এবং তার শ্বশুর নাথু মীনা ও ভেলিয়া মীনা রয়েছে। রাজস্থানের রাজ্য পুলিশ প্রধান উমেশ মিশ্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন যে এই কাজটি ২০ বছর বয়সী মহিলার শ্বশুরবাড়ির দ্বারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজস্থানের রাজ্য পুলিশ প্রধান উমেশ মিশ্র বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই জঘন্য কাজ করেছে। সে অন্য কোথাও চলে যাওয়ায় তারা বিরক্ত ছিল। তাই তারা তাকে অপহরণ করে তাদের গ্রামে নিয়ে যায় যেখানে ভয়াবহ ঘটনা ঘটায়।”