নয়াদিল্লি: ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে সোমবার সংসদে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। মঙ্গলবার তিনি ফের সংসদে এলেন৷ এবার তাঁর কাঁধে ঝুলল বাংলাদেশ লেখা ব্যাগ৷ এর মধ্যে দিয়েই সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের সমর্থন জানালেন তিনি৷ সাধারণত ফ্যাশন স্টেটমেন্ট বলে পরিচিত ব্যাগকে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করলেন সোনিয়া-তনয়া৷ (Priyanka Gandhi Bangladesh bag)
সোমবার প্রিয়াঙ্কার সাহসী প্রতিবাদ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হোসেন৷ এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রতিবাদের নতুন ভাষা খুঁজে নিলেন প্রিয়াঙ্কা৷ কাঁধে ঝোলানো চটের স্টাইলিশ ব্যগে লিখলেন- ‘আমরা বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে আছি।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে এ দিন ব্যাগ কাঁধে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেসের অন্যান্য সাংসদরাও৷ সেই বিক্ষোভে সামিল হন ওয়েনাড়ের নবনির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা৷ গতকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে সংসদে বক্তব্য রাখার সময়ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি৷ প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশে হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিচার করা। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হোক৷ নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াক ভারত।’’
বিরোধী কংগ্রেসের এই বিক্ষোভকে পালটা কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই বলেন, ‘‘আমি এটা দেখে অবাক যে, আমাদের বিরোধী দল সবসময় মুসলমানদের নিয়েই চিন্তিত। ভারতে ‘সংখ্যালঘু’ অর্থ বদলে গিয়েছে। কংগ্রেস এবং আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা সংখ্যালঘু বলতে শুধুমাত্র মুসলমানদেরই বোঝেন। তারাই এখন হিন্দুদের জন্যে আন্দোলনে নেমেছে৷ এটাও একটা পরিবর্তন। এটাই মোদী ম্যাজিক৷’’
প্রিয়াঙ্কার প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ নিয়েও সোমবার বিতর্ক হয়েছে৷ তবে সপাটে জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদও৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কি পোশাক পরব তা কে ঠিক করবে? কে তার সিদ্ধান্ত নেবে? এটা পিতৃত্বের উদাহরণ, যেখানে আপনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যে মহিলারা কি পরবেন। আমি এটা প্রশ্রয় দেব না। আমি যেটা চাই সেটাই পরব।”