Presidential Election: সুপার ফ্লপ বৈঠক হতে চলেছে বুঝে গেলেন মমতা

Presidential Election: দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রাজনীতিতে বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেন সিপিআইএমের নবরত্নের এক রত্ন হরকিষেণ সিং সুরজিত। এখনও রাজধানীর রাজনীতিতে আলোচিত হয় একটি মারুতি…

Mamata Banerjee addressing a public rally

Presidential Election: দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রাজনীতিতে বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেন সিপিআইএমের নবরত্নের এক রত্ন হরকিষেণ সিং সুরজিত। এখনও রাজধানীর রাজনীতিতে আলোচিত হয় একটি মারুতি চেপে সুরজিত বিভিন্ন অবিজেপি দলগুলির দফতরে কেমন করে ঢুঁ মারতেন সেই কথা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে জ্যোতি বসুর গুরুগম্ভীর নির্দেশ যেত দেশের সব সিপিআইএম সাংসদদের কাছে। একইসাথে বাসুজি’র অনুরোধ যেত কংগ্রেস সহ সব অ-বিজেপি দলগুলির কাছে।

ইউপিএ জমানায়, তৃতীয় ফ্রন্টের সময়ের সেই সুরজিত নেই, জ্যোতি বসু নেই কে বাঁধবে বেড়ালের গলায় দড়ি, এই প্রশ্ন উঠছেই। বিশ্লেষণে আসছে, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা যতই চেষ্টা করুন তাঁর ততটা ভারিত্ব অর্জন হয়নি। ফলে অ-বিজেপি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে দিল্লিরতে তৃ়ণমূল নেত্রীর ডাকা বৈঠক যে সুুুপার ফ্লপ হতে চলেছে তা বেলা গড়াতেই স্পষ্ট।

তীব্র আলোচনা বৈঠক হবে নাম কা ওয়াস্তে। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের এই বৈঠকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে কোনও নাম নির্দিষ্ট হচ্ছে না সেটি নিয়ে তৃণমুল কংগ্রেসের মধ্যেই গুঞ্জন।

কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই, ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির মতো কট্টর বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যেই আলোচনা চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগ, টিএমসি সুপ্রিমো যতটা বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়ান ততটা সংঘ পরিবারের বিরুদ্ধে সরব নন। সংঘ পরিবারের রাজনৈতিক শাখা বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিলেন তিনি। আলোচনায় এও উঠে আসছে, যেখানে যেখানে বিজেপি শক্তি হারাচ্ছে সেসব রাজ্যে প্রার্থী দিয়ে বিজেপি বিরোধী ভোট কাটছে তৃ়ণমূল কংগ্রেস। গোয়া, ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে চলছে সমালোচনা।

বৈঠকে অংশ নিলেও সিপিআইএমের অভ্যন্তরে মমতার বিজেপি বিরোধী ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ আছে। বিশ্লেষণে আসছে, কেরলে সিপিআইএম প্রবল লড়াই করে বিজেপিকে শূন্য করেছে। আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আমলে বিজেপি হয়েছে প্রধান বিরোধী দল। কী করে মমতার শাসনে পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস ও বিজেপির শক্তি বাড়ল তা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। বাম শিবিরের প্রশ্ন, আদৌ মমতা কতটা বিজেপি বিরোধী তিনি তো সংঘ পরিবারের চোখে ‘দেবী দুর্গা’। তিনি কি করে অ-বিজেপি শক্তিকে একত্রিত করবেন উঠছে এই প্রশ্ন।

বৈঠক ছাড়ছে বিভিন্ন দল। কেসিআরের টিআরএস নেই, আবার দিল্লিতে বৈঠক হলেও নেই আম আদমি পার্টি। কেজরিওয়াল দূরত্ব রাখছেন। কংগ্রেস বৈঠকে এলেও এখনই সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ সোনিয়া গান্ধী। আলোচনায় আসছে আরজেডি, সপার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও তারা এখনই চূডাম্ত কিছু বলবে না।

আচমকা নিজের উদ্যোগে ডাকা অ-বিজেপি জোটের বৈঠক গুরুত্ব হারাচ্ছে বুঝেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হবে তাঁকে।