‍‘তৃণমূল বন্ধু’ চিদম্বরমকে কটাক্ষের জেরে পদ হারাতে পারেন প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের হয়ে মামলা লড়ায় পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সরব হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীরা। আদালতের মধ্যেই চিদম্বরমকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন…

Adhir Ranjan Chowdhury may lose the post of PAC chairman

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের হয়ে মামলা লড়ায় পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সরব হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীরা। আদালতের মধ্যেই চিদম্বরমকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। চিদম্বরমকে তীব্র কটাক্ষ করায় পিএসি চেয়ারম্যানের পদ হারাতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।

সূত্রের খবর, কংগ্রেসের এক ব্যক্তি এক পদের নীতি ভেঙে অধীর চৌধুরীকে দুটি পদ দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। লোকসভার দল নেতার পাশাপাশি তিনি সামলাচ্ছিলেন পিএসির চেয়ারম্যানের পদ। এবার তাঁকে পিএসির চেয়রাম্যান পদ থেকে সরিয়ে পরিবর্তে শশী থারুরকে সেই পদে আনতে পারে কংগ্রেস।

কেন তাঁকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে তা নিয়ে আগেও বহুবার প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরে। কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেননি সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। হাইকমান্ডের ব্যাখ্যা ছিল, যাকে সামনে রেখে সংসদের ভিতরে বিজেপি বিরোধী লড়াই চলছে, কোনও গুরুতর কারণ ছাড়া সরিয়ে দিলে সোনিয়া ও রাহুলদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।

তবে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী চিদম্বরম তাঁর আইনজীবী পেশার কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে মামলা লড়তে এসে কলকাতা হাইকোর্টে কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীদের তাড়া খান।

মেট্রো ডায়েরি মামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মেট্রো ডায়েরি বিক্রি এবং আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ সেই মামলায় তৃণমূলে সরকারের হয়ে সওয়াল করতেই হাইকোর্টে বুধবার উপস্থিত হন চিদম্বরম। সেখানে তাঁকে ঘিরে ‘তৃণমূলের দালাল’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন অধীর চৌধুরীর আইনজীবীরা।

সূত্রের খবর, এই ঘটনার পিছনে অধীর চৌধুরীর সমর্থন রয়েছে বলেই অভিযোগ জমা পড়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে। তাই এবার দায়িত্ব কমতে চলেছে অধীরের। অন্যদিকে, লোকসভায় ইস্যু থাকলেও সেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি অধীরকে। বরং বেশ কিছু মন্তব্যে সরকারের কাছে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে৷ তাই এই রদবদলের সম্ভাবনা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।