ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। সম্প্রতি ইরানেই খুন হয়েছেন ইরান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হামাসের নেতা হানিয়া। আর তারপরেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঙ্কার দিতে শুরু করে হামাস। এরমধ্যে লেবাননে হিজবুল্লা নেতা ফুয়াদকেও হত্যা করে ইজরায়েল। যারফলে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। গত সোমবার ইজরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা করবে বলে হুঁশিয়ারি দিতে থাকে ইরান।
গোপন আস্তানায় ডোভালের সঙ্গে কথা বলার সময় কেন কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিনা?
এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অশান্তি আরও তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করে। তবে চলমান এই অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে মুখ খুলেছে মধ্যেপ্রাচ্যের আরও একটি প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক।
সম্প্রতি তাঁদের একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে হানিয়াকে গেস্ট হাউজে বোম মেরে উড়িয়েছিল কোনও এক ভারতীয় ব্যক্তি। যার নাম অমিত নাকেশ। নাম শুনেই বোঝা যায় এই লোক ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলিও তেমনই দাবি করেছিল। তাদের দাবি ছিল, অমিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ইজ়রায়েলি, যিনি কাজ করেন ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে।
পাকিস্তানের বার্তা- আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একাত্ম
তুরস্কের দেখাদেখি আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবরটি প্রকাশ করে। তুরস্কের কথায় হানিয়াকে মারতেই এই ভারতীয়কে কাজে লাগিয়েছে মোসাদ। তবে তিনি কি মোসাদের লোক ছিলেন না ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর কোনও এজেন্ট? এমন প্রশ্নই ঘুরতে শুরু করে তুরস্কের কূটনৈতিক মহলে। কারণ অতীতে কানাডায় খালিস্তানি নেতা হত্যা ও কাতারে নৌ-সেনাদের গুপ্ত কার্যকলাপে নাম জড়িয়েছিল ভারতের। এমনকি প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দিলেও পরে ছেড়ে দেয় কাতার। তাই সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ভারতীয় যুক্ত থাকার বিষয়টি জলঘোলা শুরু হয় তুরস্কে।
মুজিব-হাসিনার ছবি দেওয়া নোট বাতিলের শঙ্কা, হুড়মুড়িয়ে দাম পড়ছে বাংলাদেশি টাকার
তবে শেষ পর্যন্ত ভুল ভাঙে তুরস্কের। তদন্তে দেখা যায় ‘অমিত নাকেশ’ নামে আদৌ কোনও ব্যক্তির অস্তিত্বই নেই। এমনটা কি করে হল? আসলে পুরোটাই চোখের ধাঁধা। আসল শব্দটি ‘হ্যামিট নাকেশ’…। এটি একটি হিব্রু শব্দ। যার অর্থ ‘হত্যাকারী’। এই থেকেই যত ভ্রান্তি! হিব্রু থেকে ভারতীয় যোগ ভেবে মস্ত বড় ভুল করে ফেলে তুরস্ক। এতে মুখ পুড়েছে তুরস্কের, দাবি কূটনৈতিক মহলের। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, গোটাটাই মোসাদের চক্রান্ত। পরিস্থিতি ঘোরাতে ভারতকে টেনে শব্দ চয়নের খেল দেখাচ্ছে ইজরায়েল।