তখনও বাংলাদেশের সরকারে ছিলেন শেখ হাসিনা। রক্তাক্ত আন্দোলনের মাঝে জমাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করে বলেছিলেন পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের কোনো ঠাঁই নেই। গণবিক্ষোভ থামাতে না পেরে ভারতে পলাতক হাসিনা। এবার হাসিনা ও ভারতকে কটাক্ষ করেই পাক সরকার দিল বার্তা,আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একাত্ম।
বুধবার পাকিস্তানের বিদেশ দপ্তর (এফও) বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে…। পাক সরকার জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হাসিনাকে ফেরাতে জোর আওয়াজ উঠেছে ওপার বাংলায়
পাক বার্তায় লেখা হয়েছে,
“আমরা আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশী জনগণের স্থিতিস্থাপক চেতনা এবং ঐক্য তাদের একটি মনোরম ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।”
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই সংঘর্ষে ভারত করেছিল সহযেগিতা। বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ছিলেন ভারত ঘনিষ্ঠ।
গোপন আস্তানায় ডোভালের সঙ্গে কথা বলার সময় কেন কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিনা?
🔊: PR NO. 1️⃣4️⃣4️⃣/2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣
Pakistan Stands in Solidarity with the People of Bangladesh
🔗⬇️https://t.co/ysxug2hQgl pic.twitter.com/NrkproVTwN
— Ministry of Foreign Affairs – Pakistan (@ForeignOfficePk) August 7, 2024
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। নিজের দেশ ছেড়ে তিনি এখন দেশহীন। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি চালায় পুলিশ। পাশাপাশি তাঁর দল আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে গুলি করে অসংখ্য মানুষ খুন করে। প্রত্যাঘাতে আন্দোলনকারীদের মারে বহু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী নিহত।
“কতো কিছু আমাকে ছেড়ে চলে যায়, শুধু রয়ে গেল…” কী লিখলেন পরীমণি?
বাংলাদেশের এই গণবিক্ষোভ সামলাতে না পেরে সেনাবাহিনীর পরামর্শে শেখ হাসিনা পলাতক হন। দেশটিতে এখন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে তার প্রধান নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেছেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনার বিরোধী ও মূলত বিএনপি ঘনিষ্ঠ বলেই চর্চিত। বিএনপি আর অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা জামাত ইসলামি দুই দলই পাকিস্তানের প্রতি নরম। এই প্রেক্ষিতে ইসলামাবাদ থেকে ঢাকায় এসেছে পাক শুভেচ্ছা বার্তা।