‘সুপ্রিম’ ধাক্কা খেয়েও পঞ্চায়েতে জয় নিশ্চিত মনে করছে ঘাসফুল শিবির

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্য সরকার বড় ধাক্কা খেলেও, শাশক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নিশ্চিত যে আসন্ন গ্রাম-বাংলার পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) তারাই জিততে চলেছে।…

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্য সরকার বড় ধাক্কা খেলেও, শাশক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নিশ্চিত যে আসন্ন গ্রাম-বাংলার পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) তারাই জিততে চলেছে। দলের মত সুপ্রিম রায়ের প্রভাব ভোটে কোনওভাবেই পড়বেনা।

মঙ্গলবার (২০ জুন) পঞ্চায়েত ভোট নির্বিঘ্নে করার জন্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। ভোটে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces’ Deployment) এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যায় কমিশন। সেই আবেদন খারিজ হয় শীর্ষ আদালতে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতেই হবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়েছে।

তবে বিরোধীরা মনে করছেন যে দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ের পর তা অক্ষরে অক্ষরে মানবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন State Election Commission (SEC)। তারা মনে করছেন যে কমিশন তৃণমূলের প্রতি কোন পক্ষপাত না করেই আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেবে। পঞ্চায়েতের আগে মনোনয়ন পর্বকে ঘিরে দিকে দিকে, জেলায় জেলায় অশান্তির পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। অভিযোগের তির গিয়েছে শাসক দল তৃণমূলের দিকে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে পঞ্চায়েতের আগে ভোট সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন অন্তত ৫ জন এবং আহত হয়েছেন বহু।

পিটিআই-কে এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) জানান, “আমরা বিচার-বিভাগকে সম্পূর্ণ সম্মান করি এবং আদালতের আদেশ মেনে চলব। কিন্তু আমরা গ্রাম-বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে শুধুমাত্র বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।“

২০১৩ সালের পঞ্চায়েতের উদাহরণ দিয়ে সৌগত রায় বলেন, “আমাদের গত ১২ বছরের উন্নয়নের কাজের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিয়ে আমরা নিশ্চিত। ২০১৩-র পঞ্চায়েতে ৮৫ শতাংশের উপর আসনে জিতেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

সুপ্রিম রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামছে তাই বাহিনীর কম্যান্ডান্টদের ওপরেও যাতে রাজ্য সরকার তাদের বসিয়ে রাখতে না পারে।“

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে। তাই আমরা সঠিক ব্যবহার নিয়ে শঙ্কিত।“

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শনিবার শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া তাদের কাজ নয়। পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে রাজ্য। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী ৮ জুলাই ২০২৩।