BJP: পুরাতনী বিজেপি মহলে ‘উষ্ণতম জুলাই’, শুভেন্দুর কান ভাঙানিতেই দিলীপ ঘোষের ডানা ছাঁটা হল?

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে এবারের জুলাই মাস উষ্ণতম। এমন উষ্ণতা জনজীবনে এনেছে অস্বস্তি। আর বিজেপির ভিতরেও সেই গরম ছড়িয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষোর নামের পাশে…

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে এবারের জুলাই মাস উষ্ণতম। এমন উষ্ণতা জনজীবনে এনেছে অস্বস্তি। আর বিজেপির ভিতরেও সেই গরম ছড়িয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষোর নামের পাশে এখন প্রাক্তন শব্দ জুড়ে গেছে। শনিবার সকালেই এমন শনি দৃষ্টি পড়বে তা সেটা তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন নাকি পারেননি তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। এর সাথে আরও প্রশ্ন উঠছে, কে দিল দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কান ভাঙানি!

রাজনৈতিক মহলের একাংশের তীব্র আলোচনা, যেভাবে সকালে বিকেলে কনকাতা-দিল্লি-কলকাতা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাতে যাবতীয় নিশানায় তিনি। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ফল মিয়ে দলীয় বৈঠকে নেতাদের ধমক দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিশ্লেষণ রাজ্যে ফের বাম শক্তির জমাট বাধা অঙ্ক উঠে এসেছে বারবার।

   

সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে শুভেন্দু অধিকারী নিজ জেলা পূর্ব মেদিনীপুর তথা নিজের বিধানসভা নন্দীগ্রাম নিয়েই মগ্ন ছিলেন। এখানে তৃণমূলকে কিছুটা টক্কর দেন তিনি। আর দিলীপ ঘোষের এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে তেমন কোনও ফল হয়নি বিজেপির। উত্তরবঙ্গেও বিজেপির ভালো কিছু হয়নি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজে উত্তরবঙ্গের তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা। সেখানেও বিজেপির হাল খারাপ। তবে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিজেপির সরাসরি দাবি, এই ভোটের ফল জনতার রায় স্পষ্ট নয়। শাসক তৃণমূল লুঠ করেছে ভোট তা দিনের আলোর মত স্পষ্ট।

পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পর তৎকালীন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দলীয় বৈঠকে বাকি নেতাদের ধমক দেন। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই থেকে গোঁসা বাড়ছিল শুভেন্দুর। বিজেপি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, তিনিই দিল্লিতে বারবার ‘ওনাকে সরানো হোক’ আর্জি রেখেছেন। শনিবার সেই আর্জিতে মঞ্জুরি দিলেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। নতুন যে সর্বভারতীয় কমিটি তৈরী হয়েছে তাতে নেই দিলীপ ঘোষের নাম। রাজ্য থেকে একমাত্র আছেন অনুপম হাজরা।

সংগঠনপ্রিয় সংঘ প্রচারক দিলীপ ঘোষ এখন শুধুমাত্র সাংসদ। যদিও দিল্লির উড়ো বার্তা তাঁকে কেন্দ্রীয় কোনও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হতে পারে। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর দিলীপ ঘোষকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে আনা হয়েছিল। খাতায় কলমে বিজেপির এই পদাধিকারীর ক্ষমতা মোদী ও অমিত শাহর উপরে। এতদিন সেটাই ভোগ করে আসছিলেন দিলীপ ঘোষ। আপাতত তিনি দলীয় সাংগঠনিক ক্ষেত্রেই প্রাক্তন। প্রশ্ন উঠছে লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষকে কোন কাজে নামাবে বিজেপি। তাঁকে ভোট প্রচারে নামানো নিয়ে দলটির অন্দরে দুটি শিবির মুখোমুখি অবস্থানে। ক্রমে কোণঠাসা হচ্ছেন দিলীপ।

আরএসএসের একনিষ্ঠ প্রচারক হিসেবে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা তাঁর দলেই স্বীকৃত। তাঁরই নেতৃত্বে বিজেপি প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায়। সেকথা বারবার ইঙ্গিতে বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির অন্দরে আলোচনা, কড়া ব্যাক্য বলতে অভ্যস্থ দিলীপ ঘোষের শত্রু তিনি নিজেই।