‘বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন কুণাল ঘোষ’, বোমা ফাটালেন কল্যাণ

‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি ওনাকে নিতে চায়নি। সপ্তাহ খানেক আগেও উনি বিজেপিতে আসার প্রস্তাব…

‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি ওনাকে নিতে চায়নি। সপ্তাহ খানেক আগেও উনি বিজেপিতে আসার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন’। অডিয়ো ফাঁস কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী তথা এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে (Kunal Ghosh)।

কল্যাণের কথায়, অডিয়ো ক্লিপ এডিট করা হিয়েছে, আমি অনেক কিছুই বলিনি। বেশ কিছু জায়গায় অডিয়ো ডক্টরড করা হয়েছে। কোনও প্রস্তাব বা ঘুষ দিতে চাইনি। আমার ভয়েস এডিট করা হয়েছে। অসংখ্য লোককে ফোন করেছি। কোন দলের তা না দেখেই ফোন করেছি। ব্যক্তিগত স্তরের পরিচয় থেকে ফোন করে সমর্থন চেয়েছি।

   

এদিন দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, কল্যাণ চৌবে তাঁকে ফোন করে উপনির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ক্রীড়াক্ষেত্রে কুণালকে সাহায্য করার প্রস্তাব দেন। এআইএফএফ-এর সভাপতি পদ ব্যবহার করে আমাকে বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়েছে। কল্যাণকে নির্লজ্জ-বেহায়া বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল।

‘ভোটে আমার হয়ে কাজ করুন’, কুণালকে ফোনে প্রস্তাব মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণের

প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, ৭ জুলাই, রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় আমাকে ফোন করেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। ময়দান সূত্রে ওনার সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল। উনি বুঝতে পেরেছেন ওনার হার আসন্ন। তাই উনি ফোন করে অনুরোধ করেছেন, তাঁকে সাহায্য করার জন্য। ওরা বুঝে গিয়েছে, তৃণমূল এককাট্টা হয়ে লড়ছে। ওদের হার নিশ্চিত।

মানিকতলা উপনির্বাচনে কুণাল ঘোষকে আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণালের কথায়, প্রতিপক্ষের কাছে সাহায্য চাওয়া গণতান্ত্রিক রীতিবীতির সৌজন্য। কিন্তু উনি এআইআইএফ-এর সভাপতি পদের অপব্যবহার করে আমাকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় বা রাজ্যস্তরে Accomodate করার প্রস্তাব দিয়েছেন। পদের অপব্যবহার করছেন উনি।

বিরাট ধাক্কা খেল বিজেপি! মমতার একটা চালে ঘুম উড়েছে নিশীথের

কুণালের প্রশ্ন, এটা কী ধরনের রাজনীতি? নির্লজ্জ-বেহায়া কল্যাণ চৌবে ভোটে হারছেন বুঝতে পেরে সংকীর্ণ-নীচ রাজনীতি করছেন। ভোটের দু’দিন আগে গভীর রাতে তৃণমূলের আহ্বায়ককে ফোন করছেন উনি। দলের সঙ্গে বেইমানি করার জন্য বড় পদের লোভ দেখাচ্ছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, উনি সিবিআইকে দিয়ে আমাকে ডাকুন। দেখে নিন, এটা কার গলার স্বর।

সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর কারণে মানিকতলা আসনটি খালি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আদালতে মামলার কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি আদালত উপনির্বাচনে নির্দেশ দিলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। বিজেপি প্রার্থী করেছে কল্যাণ চৌবেকে।

হিন্দুত্ব নিয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ‘একেবারে সঠিক’, সমর্থন শঙ্করাচার্যের! চাপ বাড়ল বিজেপির?

চব্বিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে মানিকতলা বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ৬২৩৮৯। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৬৬৯৬৪ ভোট। আর বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছে ৯৪২১ ভোট। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড মাত্র ৩ হাজার।