সংখ্যালঘু প্রধান মালদহ জেলা থেকে ধুয়েমুছে সাফ তৃণমূল!

একুশের ভোটে (Malda) মিলেছিল নজরকাড়া সাফল্য। সংখ্যালঘু প্রধান মালদহ জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের আশা ছিল, জেলার দুটি লোকসভা…

leader-of-opposition-suvendu-adhikari-leaks-sensational-information-about-chief-minister-mamata-banerjee

একুশের ভোটে (Malda) মিলেছিল নজরকাড়া সাফল্য। সংখ্যালঘু প্রধান মালদহ জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের আশা ছিল, জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তত একটি তাদের ঝুলিতে আসবে। কিন্তু ভোটের রেজাল্ট বেরোতে দেখা গেল, মালদহ উত্তর দখল করেছে বিজেপি। আর মালদহ দক্ষিণ আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস।

সংখ্যালঘু প্রধান মালদহ জেলায় দলের ভরাডুবিতে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে। এই জেলার প্রায় ৫২ শতাংশ বাসিন্দাই মুসলিম। একুশের ভোটের পর শাসকদলের বিধায়কদের সাহায্যে জেলার আনাচেকানাচে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে মমতা সরকার। কিন্তু তার পরেও দলের খারাপ ফলে দৃশ্যতই হতাশ জোড়াফুল শিবির। হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

   

লোকসভা ভোটের ফলাফলে নিরিখে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতেই এগিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। ছ’টিতে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ছ’টিতে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনেও লিড তুলে নিতে পারেনি।

বিরাট ভাঙন বিজেপিতে, ১৫ পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে

জেলায় দলের ভরাডুবি নিয়ে মুখ খুলেছেন গনি পরিবারের অন্যতম সদস্য তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর। জেলা নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। মৌসম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ফলের দায় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে নিতে হবে। তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতা দুলাল সরকার আনার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছেন।

মালদহ জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্র দল – সুজাপুর, মোথাবাড়ি, মালতীপুর, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, ইংরেজবাজার, হবিবপুর, মালদহ, গাজল, মানিকচক এবং বৈষ্ণবনগর। এর মধ্যে সুজাপুর, মোথাবাড়ি, মালতীপুর, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর এবং চাঁচলে এগিয়ে কংগ্রেস। ইংরেজবাজার, হবিবপুর, মালদহ, গাজল, মানিকচক এবং বৈষ্ণবনগরে এগিয়ে বিজেপি।

বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৌড়ে কারা? সামনে এল একাধিক নাম

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ১২টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও বাংলায় খাতা খুলতে পারেনি বামেরা।