মঙ্গলবার থেকে কলকাতা ও অন্যান্য এলাকায় SIR কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। এই কর্মসূচির আওতায় বাড়ি বাড়ি Enumeration Form পৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয় BLO-রা (Booth Level Officer)। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিটি ভোটারকে তাদের তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট ফর্ম জমা দিতে হবে।
এই ফর্ম জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক। আর এই নথির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জন্ম শংসাপত্র। সম্প্রতি জন্ম শংসাপত্র নিয়ে সরকারি রেকর্ড ও কমিশনের তথ্যকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তোলেন। এই কারণে SIR-এর সময় জন্ম শংসাপত্রের চাহিদা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, SIR কার্যক্রমের আগে দৈনিক জন্ম শংসাপত্রের জন্য আবেদন সাধারণত ৩০০টির কাছাকাছি হতো। এই সংখ্যা ছিল অনলাইন আবেদন ও পুরসভায় জমা দেওয়া হাতে লেখা ফর্মের মিলিত হিসাব। কিন্তু ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন কার্যক্রম শুরু হতেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
আজকাল প্রতিদিন পুরসভায় জন্ম শংসাপত্রের জন্য আবেদন জমা পড়ছে সাড়ে পাঁচশোরও বেশি। এই হিড়িকের কারণে সংশ্লিষ্ট দফতরে লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিসের আবেদনকারীরাও লাইন ধরে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই সকাল থেকেই দফতরে উপস্থিত হন যাতে প্রথমে ফর্ম জমা দিতে পারেন।
SIR কার্যক্রমের অংশ হিসেবে BLO-রা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে Enumeration Form পৌঁছে দিচ্ছেন। নাগরিকদের তথ্য যাচাই করা, ভুল থাকলে তা ঠিক করা এবং সমস্ত নথি সঠিকভাবে জমা দেওয়ার জন্য BLO-রা বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে ভোটার তালিকা সর্বাধিক সঠিক ও হালনাগাদ থাকবে।
জন্ম শংসাপত্র শুধুমাত্র ভোটার তালিকায় নাম ঠিক করার জন্য নয়, বরং নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। SIR কার্যক্রমে নাগরিকদের সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার জন্য জন্ম শংসাপত্র বাধ্যতামূলক। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, জন্ম শংসাপত্র না থাকলে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। ফলে জন্ম শংসাপত্র পাওয়া এখন প্রধান অগ্রাধিকার।


