বাংলাদেশকে (Bangladesh) অস্থিতিশীল করতে চাইলে প্রতিবেশিরাও বিপদে পড়বে এমনই বার্তা দিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেবেন। রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। তিনি পালাতেই বাংলাদেশে গত নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের সরকার ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে শিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। এই সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনসকে সমর্থন করেছে বিএনপি ও জামাত ইসলামি।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বুধবার পাকিস্তান সরকার দিয়েছে বাংলাদেশিদের সঙ্গে একাত্ম হবার বার্তা। শেখ হাসিনার জমানায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নামমাত্র কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এবার ইসলামাবাদ ও ঢাকার কূটনৈতিক সম্পর্ক দৌড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফরাসি কমান্ডো বলয়ে ড. ইউনূস, ফ্রান্স সরকার দিল সৌজন্য নিরাপত্তা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ড. ইউনূস ফ্রান্স থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে সাক্ষাতকার দেন। তিনি বলেন, “আপনি যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করেন, তা মিয়ানমারসহ বাংলাদেশের চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে এবং পশ্চিমবঙ্গ, সেভেন সিস্টার্সে ছড়িয়ে পড়বে। এটি আমাদের চারপাশে এবং মিয়ানমারের সর্বত্র আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো হবে। বড় সমস্যা হবে, কারণ এখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।”
ইউনূসের এই বক্তব্যে মনে করা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশের আগামী কূটনৈতিক দিশার পরিবর্তন করে দিলেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে কেউ অস্থিতিশীল করতে চাইলে মায়ানমার, ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সীমান্তের সঙ্গে ভারতের ৫টি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম মিশে আছে। আর আছে মায়ানমারের সঙ্গে অল্প সীমান্ত। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি সেভেন সিস্টার্স।
‘কাঁটার মুকুট’ পরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় নোবলজয়ী ড. ইউনূস
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তীব্র রক্তাক্ত সংঘর্ষে গেরিলা মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনার যৌথ কমান্ডের কাছে পাক সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল। বাংলাদেশ তৈরি হয়েছিল। সেই থেকে যতবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় বিএনপি ও জামাত ইসলামি এসেছে ততবারই ইসলামাবাদ-ঢাকার সম্পর্ক নরম হয়েছে। এবারও আওয়ামী লীগের পতনের পর উচ্ছসিত পাকিস্তান।